ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহনে ও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানা হচ্ছে না

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১ জুন ২০২০

নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহনে ও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানা হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জে গণপরিবহন, লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটে যাত্রী বসানা হলেও বাস বা লঞ্চে উঠার সময় যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অনেকটা হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠছেন। ফলে করোনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রী পরিবহন। গণপরিবহন ও লঞ্চের ৭০ শতাংশ শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করলেও ৩০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক ও যাত্রী মাস্ক বা হ্যান্ড গ্লাভস না পড়েই রাস্তায় নেমেছে। সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে সীমিত আকারে বিভিন্ন গণপরিবহন ও যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও চাষাঢ়া থেকে আন্ত:জেলা যাত্রীবাহি বাস চলাচল চালু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন। ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত ভাড়া যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে ননএসি জনপ্রতি ৫৮ টাকা এবং এসি ৯০ টাকা। এদিকে ৬০ শতাংশ বাস বাড়া বৃদ্ধির কারণে সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবীদের কাছে এই বাস ভাড়া বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যাত্রীরা মাস্ক পড়ে গণপরিবহনে চড়লে বাসে উঠার সময় কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। একটি বাস আসলেই যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে বাসের উঠার জন্য হুড়াহুড়ি করে উঠছেন। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০ জন যাত্রী পরিবহন করা হলেও যাত্রী ওঠানামায় শারীরিক দূরত্ব কোননোভাবেই বজায় থাকছে না। হুড়োহুড়ি করে যাত্রী ওঠানামায় করোনা সংক্রমনের ভয়াবহ আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনালেও। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই লঞ্চ টার্মিনালে রবিবার থেকেই অভ্যন্তরিন রুটে সবগুলো লঞ্চই চলাচল শুরু করেছে। তবে প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে যাত্রীদের ওঠানামায় শারীরিক দূরত্ব ও শৃংখলা ভঙ্গ হচ্ছে। এদিকে করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত জেলা নারায়ণগঞ্জে এই ভাইরাসে মৃত্যু এবং আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় আরো ২ জনের মৃত্যু ও নতুন করে আক্রন্ত হয়েছেন ১শ’ ৩৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮২ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৯শ’ ২৩ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন ৮শ’ ৬ জন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
×