ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত এখন সপ্তম স্থানে

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১ জুন ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত এখন সপ্তম স্থানে

অনলাইন ডেস্ক ॥ রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবারের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ছাপিয়ে গিয়েছিল রবিবার। সেই সংখ্যাকে ফের ছাপিয়ে গেল আজ সোমবার। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ৯০ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গেল। পাশাপাশি বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ভারত চলে এল নবম থেকে সপ্তম স্থানে। টপকে গেল জার্মানি ও ফ্রান্সকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যঅনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৯২ জন। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল এক লক্ষ ৯০ হাজার ৫৩৫ জন। আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লী ও গুজরাট। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। মোট মৃত্যুর নিরিখে চীনকে আগেই পিছনে ফেলেছিল ভারত। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও মে়ডিসিনের তথ্য অনুসারে, এ বার রাশিয়াকেও মৃত্যু সংখ্যায় পিছনে ফেলল ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, কোভিড-১৯-এর কারণে দেশে মোট মৃত্যু হল পাঁচ হাজার ৩৯৪ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে দু’হাজার ২৮৬ জনের। গুজরাটে এক হাজার ৩৮ জনের। এর পর রয়েছে রাজধানী দিল্লী। সেখানে মোট ৪৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৩৫০), পশ্চিমবঙ্গ (৩১৭), উত্তরপ্রদেশ (২১৩), রাজস্থান (১৯৪), তামিলনাড়ু (১৭৩)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন পাঁচ হাজার ৫০১ জন। এ রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১৭ জনের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হিসাব অনুসারে সরাসরি করোনার কারণে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪৫ জনের। ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিটিডিতে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজদিন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও, আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটাও কম না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এটাই কিছুটা আশার আলো। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও অবধি ৯১ হাজার ৮১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৮৩৫ জন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×