ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে সেই সাইমুন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১ জুন ২০২০

বাউফলে সেই সাইমুন গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফলে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইমুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার ভোরে পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার বাবু বাজার একটি কর্মজীবী হোস্টেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে সাইমুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া সনজিৎ সাহা ওরফে সনু সাহার বাড়ির কাছে একটি ডোবা থেকে তাপস হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে। উল্লেখ, গত ২৪ মে পৌর শহরের থানা সংলগ্ন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সামনে একটি তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমপি আসম ফিরোজ এবং বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তাপস নামের এক যুবলীগ কর্মী আহত হন এবং ওই দিন রাতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। গ্রেফতারকৃত সাইমুনের বাড়ি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াদুদ মিয়া সড়কের পশ্চিম পাশে শান্ত গ্রামে। তার বাবার নাম ঝন্টু প্যাদা। এ ঘটনায় নিহতদের ভাই পঙ্কজ দাস বাদি হয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে হুকুমের আসামি করে ৩৫জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত সাইমুন তিন নম্বর আসামি। ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক চিকৎসাবাদে সাইমুন উদ্ধারকৃত ওই চাকু দিয়ে নিহত যুবলীগ কর্মী তাপসকে আঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার দিন ধারণকৃত একটি ভিডিওতে সাইমুনকে চাকু হাতে যুবলীগ কর্মী তাপসকে স্টেপ করতে দেখা যায়। ২৭ মে দৈনিক জনকণ্ঠের অনলাইনে সাইমুনের চাকু হাতে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। এরপর সাইমুনকে গ্রেফতারের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন পুলিশ। পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
×