ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত, ওদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হবে না

প্রকাশিত: ২২:১০, ১ জুন ২০২০

শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত, ওদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেজন্য এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না। আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাচ্ছি। যাতে করে এই করোনাভাইরাসে শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত না হয়। কারণ এরা (শিক্ষার্থী) আমাদের ভবিষ্যত। ভবিষ্যত তো আমি ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সেই কারণে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্মুক্ত করব না। আমরা দেখি, এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে পর্যায়ক্রমে আমরা তখন উন্মুক্ত করব। রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের গত দুই মাসের সুদের চাপ কমাতে ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, এর ফলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া আনুমানিক ১ কোটি ৩৮ লাখ ঋণ গ্রহীতা সরাসরি উপকৃত হবেন। ইতোমধ্যে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, এই দুই মাস যেহেতু সব কিছু বন্ধ, কাজেই এখানে সুদ টানার প্রয়োজন হবে না। এখানে আমরা তাদের কিছু সুযোগ সুবিধা দেব। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। সারাদেশে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সচিবালয় থেকে অনলাইনে পরীক্ষার ফলের সংক্ষিপ্ত সার প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং পিএমও সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ বছর সারাদেশ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫শ’ ২৩ জন কৃতকার্য হয়। এসএসসির ফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট না করে ঘরে বসে পড়াশোনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব সবাই যেন ঘরে বসে পড়াশোনা করে। এটা একটা পড়াশোনার ভাল সুযোগও। আমাদের নিজেদেরও এখন বেশি কাজ নেই- অনেক কিছু জানার ও পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। সেটাও কম কথা না। এখানে আমি বলব সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে।’ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে লেখাপড়া করে নিজেদের তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবে। সেটাই আমি চাই। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করব তারা লেখাপড়া শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। শিক্ষকদেরও বলব তাদের সেই শিক্ষাই দেবেন, এই শিক্ষাটা হচ্ছে শুধু নিজে ভাল থাকা না, দেশের কল্যাণে কাজ করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা। মানুষের কল্যাণেই যেন তারা নিবেদিত প্রাণ হয়, সেই শিক্ষাই তারা যেন গ্রহণ করে। দেশকে ভালবাসা, মানুষকে ভালবাসা, মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করার শিক্ষা। যেটা জাতির পিতা আমাদের বার বার শিখিয়েছেন।’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। আমার বিশ্বাস, এই করোনাভাইরাসের আঘাত থেকে শীঘ্রই বিশ্ব মুক্তি পাবে, বাংলাদেশও মুক্তি পাবে। যেকোন সঙ্কটে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাসটাই বড়। মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। করোনাভাইরাসসহ যেকোন দুর্যোগে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোন ঝড়-ঝাপ্টা আসুক, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমরা মোকাবেলা করব। এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাব। শিক্ষাখাতে সহযোগিতা বন্ধ হবে না ॥ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতিতে একটি বিরাট ধাক্কা এলেও তার সরকার শিক্ষা খাতে যেসব সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছিল সেগুলো বন্ধ হবে না। প্রাইমারী থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সরকারের দেয়া বৃত্তি এবং উপবৃত্তি সুবিধা অব্যাহত থাকবে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা যতই ক্ষতিগ্রস্ত হই না কেন আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা এই সহযোগিতাটা অব্যাহত রাখব। পাশাপাশি, বছরের শুরুতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ এবং নানা শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচীও এ সময় অব্যাহত থাকবে। তার সরকারের ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে ফল ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষার ফলাফলে কেউ হয়তো পাস করেছে, আবার কেউ হয়তো পাস করতে পারেনি। যারা পাস করতে পারেনি তাদের মন খারাপ না করে আবার লেখাপড়া করে যেসব বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে সেসব বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সকলকে স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সেক্ষেত্রে সকলকে স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। লকডাউনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সবকিছু দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু একটা দেশ এভাবে চলতে পারে না। তাই, আমি দেখতে পাচ্ছি অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং যাতায়াতসহ নানা বিষয় অল্প অল্প করে উন্মুক্ত করছে। কাজেই আমরাও সেই পদ্ধতিতে যাচ্ছি। সরকারের লকডাউনসহ বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং এতে মৃত্যুর হার কিছুটা হলেও বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলে যদি স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলেন তাহলে নিজেকে, পরিবারকে, পাড়া প্রতিবেশীকেও আপনারা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। যাতে এই ভাইরাসটি আর বেশি করে সংক্রমিত হতে না পারে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি খালিচোখে দেখা না গেলেও এর এমন একটা শক্তি যে, সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থনীতির চাকাসহ সবকিছু স্থবির করে দিয়েছে এবং সেইরকম একটা পরিস্থিতিতে আমাদের চলতে হচ্ছে। তবে সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখনকার মতো সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেই আমরা যেকোন আপৎকালীন অবস্থা থেকে নিজেদের উত্তরণ ঘটাব এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আর ২ হাজার কোটি টাকার নতুন প্যাকেজ ॥ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশব্যাপী বন্ধের প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাদের দুই মাসের সুদ মওকুফ করতে সরকারের পক্ষ থেকে ২ হাজার কোটি টাকার নতুন আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমি এ পর্যন্ত ১৮টি প্যাকেজ দিয়েছি। আর এটা নিয়ে হলো ১৯টি প্যাকেজ। যেহেতু নতুন প্যাকেজে গৃহীত ঋণের দুই মাসের সুদ স্থগিত করা হয়েছে, যে সুদের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। সেই স্থগিত সুদের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে। ফলে আনুপাতিক হারে ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাদের আর তা পরিশোধ করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমি অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব, ব্যাংকের গবর্নর সবার সঙ্গে বসে আমরা নতুন একটা প্যাকেজ দিয়েছি। সেখানে আমরা এ ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি- যেহেতু ২ মাসের সুদ স্থগিত করা ছিল, সেখানে সুদের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। স্থগিতকৃত উপরোক্ত যে সুদ, এই সুদের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে। আর সুদের যে অবশিষ্ট অর্থ, সেটা ১২ মাসিক কিস্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে ঋণগ্রহীতাগণ পরিশোধ করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এই ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার ফলে আনুমানিক ১ কোটি ৩৮ লাখ ঋণ গ্রহীতা যারা বিভিন্ন ব্যাংক থকে ঋণ নিয়েছেন তারা সরাসরি উপকৃত হবেন। তারা উপকার পাবেন। ইতিপূর্বে ঘোষিত প্যাকেজসমূহের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা জানেন আমরা ১ লাখ কোটি টাকার ওপরে প্রণোদনা দিয়েছি। যেটা আমাদের জিডিপি’র ৩ দশমিক ৭ ভাগ আমরা প্রণোদনাই দিচ্ছি। এত প্রণোদনা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে দিয়েছে কি না জানি না। শেখ হাসিনা বলেন, এই ২ হাজার কোটি টাকাসহ সরকার ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজে মোট পরিমাণ দাঁড়াল ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। যা জিডিপি’র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু আমরা সেভাবে সেই সুযোগটা দিচ্ছি। প্রণোদনা প্যাকেজের বাইরে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে কওমি মাদ্রাসা, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনদের বিশেষ অর্থ সহায়তা এবং বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা সহযোগিতা ও ভাতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ভিন্নভাবে এসব খাতে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এসব প্রণোদনা এবং আর্থিক সহযোগিতা বাজেটের ওপর চাপ ফেললেও সরকার আগামী ১১ জুন বাজেট ঘোষণা করবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বাজেট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি। গ্রামে হাঁস-মুরগি পালনকারী, মৎস্য চাষী, ছোট দোকানি, চায়ের দোকানদার, পণ্য বিক্রেতা- প্রত্যেকেই যেন তাদের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্যই তার সরকারের এই উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই টাকা এমনি আসেনি। আমাদের অর্থনীতি সম্পূর্ণ স্থবির থাকায় এই টাকাগুলো সরকারকে ব্যাংক থেকে ধার করতে হয়েছে। সরকারই এখন টাকা ধার করে সকলের ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালু, জীবনযাত্রাটা চলমান থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এক কোটি মানুষের তালিকা করে ১০ কেজিতে চাল প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহায্য গ্রহীতাদের তালিকা যাতে যথাযথভাবে হয় সেজন্য যাচাই-বাছাই করে করা হয়েছে। এক সময়ে সমাজে অপাঙ্ক্তেয় শ্রেণী হিসেবে অতীতের সুবিধাবঞ্চিত হিজড়া, বেদেসহ নি¤œ আয়ের সকল লোকজনকে এর আওতায় আনা হয়েছে। মানুষের জন্যই আমার রাজনীতি। কাজেই মানুষের যাতে কষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
×