ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে শহীদ ডা. জামিল আক্তার রতনকে স্মরণ

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ৩১ মে ২০২০

রাজশাহীতে শহীদ ডা. জামিল আক্তার রতনকে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. জামিল আক্তার রতনকে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে। আজ রবিবার ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুলে ফুলে ভরে গেছে শহীদ জামিলের সমাধি। বেলা ১১টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) প্রাঙ্গনে শহীদ জামিল আক্তার রতনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এ সময় শহীদ জামিলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ ডা. জামিল আক্তার রতন ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার একজন সৈনিক। তার নাম কখনও ইতিহাস থেকে মুছে যাবে না। তার আদর্শ যেন বাংলাদেশে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয় তার জন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। তাহলেই শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। এরপর শহীদ জামিলের সমাধিতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর কমিটি, শহীদ ডা. রতন ফাউন্ডেশন, শহীদ ডা. জামিল আক্তার রতন স্মৃতি সংসদ, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর নগর কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এতে ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ জামিলের সমাধি। এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা, নগর সম্পাদকম-লির সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, নাজমুল করিম অপু, শহীদ জামিল আক্তার রতন ফাউন্ডেশনের সভাপতি কবি আরিফুল হক কুমার, সদস্য আলমগীর মালেক, শহীদ ডা. জামিল আক্তার রতন স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবদুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন পান্না উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লড়াই-সংগ্রামের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ শাখার তৎকালীন সভাপতি ডা. জামিল আক্তার রতন। তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় সামরিক শাসক এরশাদ। আর ক্যাম্পাসে তখন সক্রিয় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত-শিবির। ১৯৮৮ সালের ১১ মে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হলে দেশব্যাপী এর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিরোধীতা শুরু করে। ৩১ মে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলো তুমুল উত্তেজনা। শহীদ জামিল সেদিন শিবিরের নৃশংসতার নির্মম শিকার হন। জামিলকে পাওয়ামাত্রই শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা হুইসেল বাজিয়ে উপর্যুপরি কোপায়। ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেয়া হয়। এতেও তারা থামেনি। তলোয়ার ঢুকিয়ে দিয়ে তার পেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
×