ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এসএসসি : যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৩১ মে ২০২০

এসএসসি : যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবছর যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ‘উল্লম্ফন’র ঘটনা ঘটেছে। গতবছরের তুলনায় এবার প্রায় ৪ হাজার বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯৪৮। তবে বোর্ডে পাসের হার কিছুটা কমেছে। এবছর পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ ভাগ; গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৯০ দশমিক ৮৮। আজ রবিবার প্রকাশিত ফলাফলে যশোর বোর্ডের এ চিত্র উঠে এসেছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, এবছর যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ২৪৩ জন। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। গতবছর এই বোর্ড থেকে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ৯ হাজার ৯৪৮। সে অনুযায়ী গতবছরের চেয়ে এবছর যশোর বোর্ড থেকে ৩ হাজার ৮১৬ জন শিক্ষার্থী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে পাসের হার ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমেছে। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিল। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ জন। পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৮৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯ হাজার ৯৪৮ জন। যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানিয়েছেন, এবছর যশোর বোর্ডের ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বড় সাফল্য পাওয়া গেছে। পাসের হার সামান্য কমলেও তা অন্যান্য বোর্ডে তুলনায় ভাল। ফলাফলের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এবছর মেধাবীরা অনেক ভাল করেছে। এজন্য জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অনেক বেড়েছে। এবছর স্কুলগুলো থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। বোর্ড এ বিষয়ে কঠোর ছিল। ফলে যোগ্যরাই এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে এবং উত্তীর্ণ হয়েছে। আর প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতি গ্রহণ করায় বোর্ড ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এতে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নভীতি কমেছে। আর শিক্ষার্থীদের গাইড নির্ভরতা কমেছে এবং মূল বইয়ের প্রতি মনোযোগী হয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের প্রতি যতœ নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ৮ম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের বোর্ড থেকে মনিটরিং করায় ভাল ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
×