ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাতি, ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণ লুট

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ৩১ মে ২০২০

মুন্সীগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাতি, ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণ লুট

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ শহরের মধ্যকোর্টগাঁস্থ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস-উজ-জামানের বাসভবনে ডাকাতি হয়েছে। ৭/৮ জনের ডাকাত দল আজ রবিবার ভোর রাত ৩টা থেকে ঘন্টাব্যাপী পরিবারের সদস্যদের মারধর ও অস্ত্রের মুখে আটক করে আসবাবপত্রসহ ১শ’ ভরি স্বর্ণ ও ৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন আজ রবিবার সকালে জানিয়েছেন, ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে, জেলার সব চেকপোস্ট গুলোকে সর্তক রাখা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল প্রথমে ভবনের দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশের গ্রীল ছাড়া থাইগ্লাস দিয়ে আটকানো জানালা দিয়ে কোনভাবে একজন ভিতরে ঢোকে। দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে গোপন একটা দরজা আছে ভিতরে ও বাইরে ঢোকার জন্য। পরে ভিতরে ঢোকা ডাকাত ঐ গোপন দরজা খুলে দিলে আরও ৭/৮ জন ডাকাত ভিতরে প্রবেশ করে । দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রাজীবের ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে বেঁধে ফেলে। তার কক্ষে লুটপাটের পর অস্ত্রের মুখে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছোট ভাই জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমী রাজনের ঘরে নিয়ে যায়। রাজিবকে দিয়েই অস্ত্রের মুখে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলিয়ে কৌশলে রাজনের দরজা খোলায়। দরজা খুলতেই রাজনকেও মারধর করে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। পরে লুটপাট করে। এরপর আসে নিচতলার আনিস-উজ-জামানের কক্ষে। সেখানেও রাজিবকে দিয়ে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে দরজা খোলায়। কক্ষে প্রবেশ করে ডাকাতদল তাকেও আঘাত করে লুটপাট চালায়। এ সময় আনিস-উজ-জামানের স্ত্রী আমেরিকায় অবস্থান করছিলেন। তবে আনিস-উজ-জামান, তার দুই ছেলে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতেই ছিলেন। পরে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা ৫ লাখ নগদ টাকা ও ১শ’ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গোপন দরজা দিয়েই পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ দোষীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোটপুত্র জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমী রাজন জানান, ডাকাতদের ভাষা ছিল ফরিদপুর-শরীয়তপুর এলাকার বেল্ডের। ডাকাতরা স্থানীয় যাদের সহযোগিতা নিয়ে ডাকাতি করেছে, হয়তো তাদের সাথেই আত্মগোপন করে আছে। সঠিক তৎপরতা থাকলে ডাকাতদের ধরা যাবে। ডাকাতি করে তারা পশ্চিম দিক দিয়ে দেওভোগের দিক দিয়ে বেড়িয়েছে। তারা এখনও এ এলাকায়ই রয়েছে। তিনি আরও বলেন ডাকাতরা তাকে, তার বাবাকে এবং ভাইকে ডাকাতি করার সময় মারধর করেছেন। ভিতরে ৭/৮ জন প্রবেশ করলেও বাইরে আরও ডাকাত ছিল। আনিস-উজ-জামান আনিস সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বশেষ কমিটির নির্বাচিত কমান্ডার, এবং মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।
×