ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর ৩০তম স্প্যান বসছে আজ

প্রকাশিত: ২২:০০, ৩০ মে ২০২০

পদ্মা সেতুর ৩০তম স্প্যান বসছে আজ

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুর ৩০তম স্প্যান বসছে আজ শনিবার। সেতুর সর্র্বশেষ নির্মিত ২৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসবে ‘৫বি’ নম্বর এই স্প্যান। ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানটির অপর মাথায় থাকবে ২৭ নম্বর খুঁটি। স্প্যানটি খুঁটিতে বসানোর জন্য তাই ২৭ নম্বর খুঁটিতে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যানকে ঝুলিয়ে রাখার যন্ত্র) স্থাপন করা হয়েছে। স্প্যানটি দু’খুঁটিতে স্থায়ীভাবে ওয়েল্ডিং করার আগে একপাশ আগলে রাখবে এই লিফটিং ফ্রেম। এদিকে শনিবার স্প্যানটি খুঁটিতে উঠানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন প্রায়। তাই শুক্রবার সকালে মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ১৫০ মে. টন ওজনের ‘৫বি’ নম্বর স্প্যান ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় খুঁটির কাছে। পরে স্প্যানটি প্লেস করে রাখা হয়। শনিবার সকালেই এটি খুঁটির ওপর উঠানোর কাজ শুরু হবে। ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটি স্থাপন করা হবে খুঁটির ওপর। এরই মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু সাড়ে ৪ কিলিমোটার দৃশ্যমান হবে। আর আগামী ২০ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসনোর সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। এটি বসবে ২৫ ও ২৩ নম্বর স্প্যানে। এই ৩০ ও ৩১ তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য সেতুটির সরাসরি জাজিরা প্রান্ত থেকে মাওয়ার অংশ স্পর্শ করবে। তাই জাজিরার অংশে আর কোন স্প্যান বাকি থাকছে না। আর মাওয়ার অংশে স্প্যান বসানো বাকি থাকছে ১০টি। তবেই সেতুর পূর্ণ অংশ অর্থাৎ ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো: আব্দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর খুঁটি এলাকায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি রুটের চ্যানেল ছিল। সে কারণেই এই দু’টি খুঁটি নির্মাণে বিলম্ব হয়। ড্রেজিং করে পাশ দিয়ে চ্যানেল করে দিয়ে তবেই খুঁটি দুটি করা হয়। তিনি জানান, বর্ষায় এই এলাকাটিতে প্রচুর পলি আসে। তাই ভরা বর্ষার আগেই এই দু’টি স্প্যান স্থাপন করা হলে চ্যালেঞ্জ থাকে না। আর মাওয়ার অংশে নদী অনেক গভীর। এখানে বর্ষায়ও অনেক শ্রোত থাকে তাই এখানে পলি জমতে পারে না। চ্যানেল নব্যতা শঙ্কট হয় না, তাই বর্ষায় মাওয়ার অংশের স্প্যানগুলো স্থাপন সহজ হবে। কোভিড-১৯ দুর্যোগ সত্ত্বেও পুরো এলাকা আইসোলেট রেখেই স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। এতে কাজ চলমান থাকার পাশাপাশি এখানকার দেশী বিদেশী কর্মীরাও ভাল আছেন। তাই সকলের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কেউ আমরা ছুটিতে যাইনি। সবাই কর্মস্থলে ঈদ করেছেন। এখানেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। সবারই মন এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ করার দিকে।
×