ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা রুখতে আলোর পথ দেখাচ্ছে বিজ্ঞান

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৩০ মে ২০২০

করোনা রুখতে আলোর পথ দেখাচ্ছে বিজ্ঞান

রশিদ মামুন ॥ প্রতিদিন আক্রান্ত-মৃত্যু আর হতাশার কালো আঁধার পেরিয়ে মহামারী রুখতে আলোর পথ দেখাচ্ছে বিজ্ঞান। দুনিয়া জুড়ে চলা করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত মানব সভ্যতা। এরমধ্যেই টিকা আবিষ্কারে যেমন অগ্রগতি হচ্ছে একই সঙ্গে পুরাতন ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও মিলছে আশাব্যঞ্জক ফল। গোটা বিশ্বের মতো দেশেও নানা ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোন কোনটির ভাল ফল মিলছে। চিকিৎসকরা বলছেন সংক্রমণের শুরুতেই এসব ওষুধ প্রয়োগ করা গেলে বাঁচতে পারে প্রাণ। যদিও এখনও বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা চিকিৎসায় টিকা আবিষ্কারের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে নানা ওষুধ প্রয়োগের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। অক্সফোর্ডের টিকা আবিষ্কারের সুখবর আসতে পারে জুনেই। শুক্রবারের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫৮ জন। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে ভাইরাসের সঙ্গে লড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিন লাখ ৩০ হাজার ৬৭৯ জন। দেশে আক্রান্তের পরিসংখ্যান বলছে, ৪২ হাজার ৮৪৪ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সেরে উঠেছেন নয় হাজার ১৫ জন আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৮২ জন। দেশে শুক্রবার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ৫২৯ জন। যা এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। একদিকে করোনা ভয় অন্যদিকে অর্থনীতির নাজুক অবস্থার কারণে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আগামীকাল থেকে দেশের সব অফিস খুলছে। সঙ্গে সঙ্গে সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহনও। ফলে সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। তবে যেসব ওষুধে এরমধ্যে ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো সহজপ্রাপ্য করার দাবিও করছেন বিশেষজ্ঞরা। ডব্লিউএইচও বলছে করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন দেশে ৭০টি গবেষক দল কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচও করোনাভাইরাসের আটটি টিকাকে মানবদেহে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের যেসব টিকা আবিষ্কারের খবর প্রকাশ করা হচ্ছে তারমধ্যে চারটি টিকার অগ্রগতি সব থেকে বেশি বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে। বলা হচ্ছে এসব টিকা মানুষের দেহে প্রয়োগে আশা জাগানো ফল পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত টিকা না আবিষ্কার হওয়া যেসব ভাইরাস রয়েছে কোভিড-১৯ সে ধরনের নয়। তবে টিকা আবিষ্কার করে গণহারে মানুষের দেহে প্রয়োগে কতটা সময় প্রয়োজন তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারো কারো দাবি চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই টিকা পাওয়া যাবে। আর কেউ কেউ বলছেন টিকা আবিষ্কার এবং এর নিরাপদ প্রয়োগে অন্তত দেড় বছর সময় প্রয়োজন। অর্থাৎ টিকা পাওয়া যাবে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যসব গবেষণার কাজ বন্ধ রেখে কেবলমাত্র করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কার করাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তৈরি হতে পারে টিকা। টিকা আবিষ্কার সময় সাপেক্ষ হলেও এখন আগে থেকে রয়েছে এমন কিছু ওষুধ প্রয়োগে ভাইরাস থেকে মুক্তির চেষ্টা করছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। দেশে ওষুধ প্রয়োগের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগকে এখনও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জুনের শেষনাগাদ যে ফল পাওয়া যাবে তার ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে প্লাজমা থেরাপি দেয়া শুরু হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের সাফল্যের পর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পরজীবী ধ্বংসকারী ওষুধ ইভারমেকটিন প্রয়োগে সুফল মিলেছে। এখন যেসব রোগী বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদেরও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ইভারমেকটিন গ্রহণ করতে। তবে এই ওষুধটি করোনা শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োগের নির্দেশনা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রথম দিন এক সঙ্গে দুটি ইভারমেকটিন গ্রহণ করতে বলা হচ্ছে। এর ঠিক ১২ ঘণ্টা পর একটি ইভারমেকটিন গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই তিনটি ওষুধের সঙ্গে কিছু এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে বলা হচ্ছে। এতে চারদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসছে। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তি ভাইরাস থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। বাংলাদেশের এই সাফল্য দেখার পর ভারতের একটি হাসপাতাল ইভারমেকটিন খাওয়ানো শুরু করেছে। বেসরকারী বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ তারেক আলমের নেতৃত্বে সেখানে গত দেড়মাস ধরে ৬০ জন করোনা রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে গুরুতর অসুস্থ নয় এমন রোগীরা ৪ দিনেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অধ্যাপক ডাঃ তারেক আলমের এই দাবির পর পুলিশ হাসপাতাল এক হাজার ২০০ রোগীর ওপর ইভারমেকটিন প্রয়োগ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডাঃ তারেক আলমের কাছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল চালানোর জন্য প্রস্তাব চেয়েছে। ডাঃ তারেক আলম সম্প্রতি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল শুরু করতে পারবেন। যদিও এর আগেই সরকারের রোগ তত্ত্ব এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর নারায়ণগঞ্জের ১০০ রোগীকে নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল শুরু করেছে। ইভারমেকটিন উকুন মারার ওষুধ হিসেবে বহুল প্রচলিত। মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট হিসেবে ১৯৮০ সাল থেকে ব্যবহার হচ্ছে। আর আগে ডেঙ্গু এবং ইনফ্লুয়েঞ্জাতে এই ওষুধ এর আগে থেকে ব্যবহার হয়েছে। আর শ^াসযন্ত্রে পরজীবীর সংক্রমণ রোধে ব্যবহার হয় ক্যাপসিউল ডক্সিসাইক্লিন। সরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের কোন যোগাযোগ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেছেন, সরকারী পর্যায়ে ইভারমেকটিন এবং ডক্সিসাইক্লিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল শুরু করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নারায়ণঞ্জের ১০০ রোগীকে বেছে নিয়েছি ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের জন্য। এটি শেষ হতে অন্তত মাসখানেক সময় প্রয়োজন হবে। তিনি জানান, শুধু দেশেই নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ওষুধ দুটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল হচ্ছে। এ ওষুধ নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কাজ করছে। সরকারী পর্যায়ের ওষুধের যে ট্রায়েল করা হয় এখানে তার সবগুলো নিয়ম মানা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, ইভারমেকটিন এবং ডক্সিসাইক্লিনের সঙ্গে এ্যান্টিবায়োটিক শ্রেণীর ওষুধ এ্যাজিথ্রোমাইসিন ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। মোট ১৫ দিনের এই এ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের সঙ্গে উপসর্গ ভিত্তিক ওষুধ জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, কাশি ও এলার্জির জন্য প্রয়োজীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে। না হলে জ্বর কাশি অন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে। ফলে ১৬ বা ১৭ মে যাদের ট্রায়েল শুরু হয়েছে তাদের শেষ হতেই আরও ১৫ দিন সময় লাগবে। এরপর নানা দিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনে সময় লাগবে। তবে এই ওষুধকে একেবারে সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োগ করলেই ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে একটি ওষুধের কার্যকর ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। যদিও এখন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সব কিছুর সময় এগিয়ে আনা হচ্ছে। তবে সংক্রমণ যাদের বেশি তাদের ক্ষেত্রে ইভারমেকটিন কার্যকর কি না তা পরীক্ষা করা হয়নি। এজন্য রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা সরকারী হাসপাতালে বিনামূলে বেমডেসিভির সরবরাহ শুরু করছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে সরকারী হাসপতালের সকল রোগীর জন্যই তারা বিনামূল্যে রেমডেসিভির সরবরাহ করবে। বেক্সিমকোর পাশাপাশি বাজারে রেমডিসিভি এনেছে এসকেএফ ফার্মা। সংক্রমণ যাদের বেশি তাদের রেমডিসিভির পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। এই পদ্ধতিতে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন এমন কারো শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে তা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছে যাতে তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। আমেরিকাতে ব্যাপকভাবে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন। তিনটি দেশই জোরেশোরে আবিষ্কারের পথে থাকা টিকাগুলোর সাফল্য তুলে ধরছে বিভিন্ন সময়ে। এরমধ্যে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের সারা গিলবার্টসের দল সব থেকে এগিয়ে থাকার দাবি করছে। জানা গেছে অক্সফোর্ড তাদের টিকা আবিষ্কারের শেষ ধাপের পরীক্ষা চালাচ্ছে এখন। এই ধাপকে তারা চূড়ান্ত ধাপ বলে উল্লেখ করেছে। গত শুক্রবার অক্সফোর্ড জানিয়েছে এজন্য ১০ হাজার মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। এপ্রিলে মানবদেহে প্রয়োগের ফলাফলে আশান্বিত হয়ে এবার ১০ হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গতবারের হিউম্যান ট্রায়ালে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বার ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ওপরও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক। এর পাশাপাশি দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুর ওপরও পরীক্ষা করে দেখা হবে এই টিকা। গত ২৩ এপ্রিল মানুষের ওপর তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হয়। তখন ৫১০ জনের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের সঙ্গে এরমধ্যে ২০টি দেশ যুক্ত হয়েছে। আশার খবর হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট রয়েছে এই তালিকায়। সিরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনেওয়ালা এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা সেপ্টেম্বরনাগাদ ৪০ মিলিয়ন ডোজ টিকা বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করছেন। মে থেকেই তারা উৎপাদন শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে যেহেতু অক্সফোর্ড ১৫ জুনের মধ্যে টিকার কার্যক্ষমতা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করবে তাই ওই সময়েই টিকা বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সিরামের আর কোন বাধা থাকবে না। তবে অক্সফোর্ড দাবি করছে আগামী জুনের মাঝামাঝি সময়ে সবার আগে তাদের আবিষ্কৃত টিকা বাজারে আসতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্র এজন্য এক চুক্তি করে ১২০ কোটি ডলার দিয়ে প্রথম চালানের ১০০ কোটি ডোজ টিকার ৩০ কোটি কিনে নিয়েছে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি মডার্না দাবি করেছে তাদের টিকা মানবদেহে সফল হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে গত মার্চে টিকাটি দুই ডোজ করে প্রয়োগ করা হয়েছিল। কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ায় এখন ৬০০ মানুষের মাঝে দ্বিতীয় ধাপের প্রয়োগ শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপের সফলতা দেখা গেলে পরবর্তীতে কয়েক হাজার ব্যক্তির দেহে এটা দেয়া হবে। সফলভাবে এসব স্তর পার করতে পারলেই, কেবল তখন ভ্যাকসিন ব্যাপকহারে উৎপাদনের অনুমতি দেবে মার্কিন ওষুধ ও খাদ্য প্রশাসন- এফডিএ। যদিও মডার্না বলছে আগামী বছর তাদের এই টিকা বাজারে আনা সম্ভব। অনেক আগে থেকেই করোনা মহামারী প্রতিরোধে চীনের বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারের দাবি করে আসছে। বেজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক এই টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে। তারা বলছে, মানুষের শরীরে এই টিকা শতভাগ সফল হয়েছে। এই টিকা চীনের পর কানাডাতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল দেয়ার জন্য চুক্তি করেছে চীন। চীন বলছে, কানাডায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়েল সফল হলে সেখানেই টিকার উৎপাদন শুরু হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং সম্প্রতি বলেছেন চীন টিকা আবিষ্কার করলে এককভাবে শুধু চীনই নয় বরং সারাবিশে^ তা ছড়িয়ে দেয়া হবে। সিনোভ্যাক বায়োটেক এর মতোই চীনের সেনাবাহিনীও করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করছে।
×