ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ফুলকোর্ট সভায় ভার্চুয়াল না নিয়মিত কোর্ট সিদ্ধান্ত হবে

ভার্চুয়াল কোর্টে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৯৩৮ জনের জামিন

প্রকাশিত: ২১:৩১, ৩০ মে ২০২০

ভার্চুয়াল কোর্টে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৯৩৮ জনের জামিন

বিকাশ দত্ত ॥ করোনাভাইরাসের কারণে সুপ্রীমকোর্টসহ নিম্ন আদালত বন্ধ রয়েছে। জরুরী বিষয় নিষ্পত্তির জন্য ভার্চুয়ালকোর্ট চালু আছে। এখন সুপ্রীমকোর্টসহ নিম্ন আদালতে নিয়মিত কোর্ট না ভার্চুয়াল কোর্ট হবে তা আজ শনিবার জানা যাবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এদিকে সুপ্রীমকোর্টের বেশকিছু আইনজীবী নিয়মিত কোর্ট চালু করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। অন্যদিকে আইনজীবীদের আরেক অংশ ভার্চুয়াল কোর্ট ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল বেঞ্চ বাড়ানোর পক্ষেও মত দিয়েছেন। তাদের সবারই অভিমত ফুলকোর্ট যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা আমরা মেনে নেব। ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশের নিম্ন আদালতসহ উচ্চ আদালতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেয়া হয়েছে। নি¤œ আদালতে ১০ কার্যদিবসে (১১ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত) ২০ হাজার ৯৩৮ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে। আর জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৩ হাজার ২৮৭টি। সুপ্রীমকোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান সূত্রে এ খবর জানা গেছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এই কয়দিনে ১৩৭ জনকে জামিন দিয়েছেন। সুুপ্রীমকোর্ট বার সমিতির সাবেক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদী এ বিষয়ে বলেছেন, যেহেতু সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অধিকাংশ আইনজীবী মনে করেন যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বার সমিতির তৈরি করা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মোতাবেক রেগুলার কোর্ট চাল করা যেতে পারে। চালু করা সঠিক হবে বলে আমি মনে করি। অন্যদিকে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেছেন, এই মুহূর্তে ভার্চুয়াল কোর্ট আরও ১৫ জুন পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি জরুরী বিষয়গুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। বেশ কিছু মামলার আসামি জামিনও পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। মহামারী করোনার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সব আদালত। তবে গত ১১ মে থেকে দেশব্যাপী চালু হয় ভার্চুয়াল কোর্ট। এরপর থেকে জামিনসহ জরুরী মামলাসমূহ ভার্চুয়াল কোর্টেই নিষ্পত্তি হয়ে আসছে। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে ৩১ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে সব অফিস ও সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়। এ প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন। সভায় আদালত খোলা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। করোনার কারণে সরকারী ছুটির সঙ্গে গত ২৬ মার্চ থেকে সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফা বাড়িয়ে তা ৩০ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ফুলকোর্ট সভার এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রীমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে শনিবার বিকেল ৩টায় ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে। সূত্রে জানা গেছে, সভায় করোনার সঙ্কটময় মুহূর্তে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট বন্ধ থাকবে নাকি খোলা থাকবে, সে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
×