ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির স্বাভাবিক দামে ক্রেতাদের স্বস্তি

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৯ মে ২০২০

সবজির স্বাভাবিক দামে ক্রেতাদের স্বস্তি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সাধারণত ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলেও এবার সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না। ঈদের পর ৪ দিন কেটে গেলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। সবজির স্বাভাবিক দামে স্বস্তি রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। বেশিরভঅগ সবজির কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর সাধারণত সবজির চাহিদা বেড়ে যায়। এতে দাম কিছুটা বাড়ে। তবে এবার সবজির চাহিদা আগের মতো বাড়েনি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার ঈদের আমেজ কারো মধ্যে ছিল না। যে কারণে এবার রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষের ঈদের দিন সাধারণ দিনের মতোই কেটেছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের আগের মতো এখনও বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। রোজার শুরুর দিকে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজর ঈদের আগে দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়। এখনও বাজার ও মানভেদে গাজরের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের তথ্য মতে, গাজরের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। এখন খুবই সীমিত পরিমাণে গাজর পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে গাজরের দাম বেড়েছে। এদিকে ব্যবসায়িরা বলছেন, ৩১ মে থেকে অফিস খুলছে। সেই সঙ্গে গণপরিবহন চলাচলের কথা বলা হয়েছে। কাজেই ৩১ মে'র পর থেকে রাজধানীতে মানুষের চলাচল বাড়বে। আবার যারা ঢাকার বাইরে গ্রামের বাড়িতে রয়েছে তারাও ফিরে আসবে। ফলে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়বে। এতে তখন দামও কিছুটা বাড়তে পারে। দাম কমেছে শশার। রোজার শুরুর দিকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকায় নেমে আসে। এখনও শসার কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আরো কমেও বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে বেগুনেরও। রোজার শুরু থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। এছাড়া পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিংগা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও সবজিগুলোর দাম এমনই ছিল। সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতা জুলহাস বলেন, ঈদের পর সব সবজির চাহিদা থাকে তাই দামও একটু বেশি থাকে। এবার মানুষ বের হয়না চাহিদাও কম, দামও কম। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ি ইমরান মিয়া বলেন এবার ঈদ ঈদের মতো মনে হয়নি। মানুষ কেনাকাটা কম করছে। চাহিদা কমে গেলে বাজারে দামও কমে যায়। সবজিরও তাই হয়েছে। তবে ৩১ মে'র পর মানুষের চলাচল বাড়লে দাম উঠতে পারে। সবজির পাশাপাশি দাম স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৫০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।
×