ঝালকাঠিতে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর মুক্তিপণ দাবি

নিজস্ব সংবাদাদাতা, ঝালকাঠি, ২৯ মে ॥ কাঠালিয়ায় এক কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে বখাটেরা গণধর্ষণ করার পরে অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, ইতোমধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মোঃ রিমন হাওলাদার তানভীরের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ২৬ মে তানভীর তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে নাজিরপুরে ওই ছাত্রী (প্রেমিকার) কাছে যায়। ওই দিনই মোটরসাইকেলযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাওয়ার পথে কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মাঝেরপুল নামক স্থানে বখাটে রিপন জোমাদ্দার, আফজাল ও রাকিবসহ তাদের দলবল নিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় এবং ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী ফারুক জমাদ্দারের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধামইরহাট নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ, থেকে জানান, ধামইরহাটে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষকরা ওই যুবতীকে ফুসলিয়ে নির্জন ও পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধামইরহাট থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বৈদ্যবাটি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা মানসিক ভারসাম্যহীন (২৪) বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে মঙ্গলবাড়ী বাজারে আসে। সকাল ৯টার দিকে বাজার শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এই সময় মঙ্গলবাড়ী বাজারের আমিনুর ইসলাম ভুট্টুর ছেলে সেজান (২১) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মিশু (২৪) ওই মেয়েটিকে ভ্যান ধরিয়ে দেয়ার কথা বলে মঙ্গলবাড়ী সেন্টারপাড়ার একটি নির্জন পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে যায়।