ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লিবিয়ায় পাঁচারকারীদের গুলিতে নিহত ৮ জনের বাড়ী ভৈরবে

প্রকাশিত: ১৯:২১, ২৯ মে ২০২০

লিবিয়ায় পাঁচারকারীদের গুলিতে নিহত ৮ জনের বাড়ী ভৈরবে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব ॥ লিবিয়ায় পাঁচারকারীদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশী অভিবাসীর মধ্য ৮ জনের বাড়ী ভৈরবের বিভিন্ন গ্রামে। লিবিয়ায় পাচারকারীদের হাতে জিম্মি অভিবাসী নিহতের খবর পরিবারের সদস্যদের কাছে আসার পর থেকেই প্রতিবাড়িতেই স্বজনহারাদের কান্নার রোল পড়ে। গ্রামে হাট-বাজারে শুধু মানুষের মুখে লিভিয়ার বর্বরতম ঘটনার কথা। লিভিয়ায় ভৈরবে আটজন নিহতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার পরির্দশক তদন্ত বাহালুল বাহার। নিহতরা হলো ঃ সাকিব (১৮) পিতা বাচ্চু মিয়া,শ্রীনগর,সোহাগ (২২) পিতা আঃ আলী ,মৌটুপী, আকাশ(২৫) পিতা মের আলী,রসুলপুর, জানু মিয়া (২৭) পিতা সাত্তার, শম্ভুপুর, মামুন (২৬) পিতা লিয়াকত শম্ভুপুর, মোঃ আলী(২৫) পিতা মুকসেদ শম্ভুপুর । শুক্রবার দুপুরে ভৈরবে সাদেক পুরের রসুলপুরের মেহের আলী মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে ছোট ছেলে আকাশের মৃত্যুর খবরে স্বজনদের কান্নায় প্রতিবেশীদের চোখের অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনী। পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে গিয়ে দালাল চাক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আর যাহাতে কোন মায়ে বুক খালি না হয় এমনই দাবী এলাকাবাসীর। এ সব দালাল দের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী এলাকাবাসীর। ভৈরবে সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মেহের আলী মিয়ার ৯ সন্তানের মাঝে সবার ছোট আকাশ লিবিয়ার পাড়ি জমায়। সেখানে সে একটি ফার্নিচার কোম্পানীতে চাকুরী করছিলো। সে সময় পরিচয় হয় ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের সোনামিয়ার ছেলে দালাল তানজিমুলের সাথে। আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ইটালী পৌছে দেবার চুক্তিতে ১৫ দিন আগে বেনগাজী থেকে গাড়ীতে ত্রিপলি রত্তয়ানা হয়। রত্তয়ানার পরপরই দালাল চক্র তাদের পাসপোর্ট নগদটাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তারপর থেকে তাদের কোন খোজ পাছিলনা। হঠাৎ খবর আসে যে একটি মাফিয়া চক্রের হাতে তারা জিম্মি ১০ লাখটাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। এ সময় তাদের বিভিন্ন ভাবে শারিরিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে অডিত্ততে পরিবার কে জানানো হতো। একই অবস্থা একই ইউপির মৌটুপী গ্রামের আঃআলীর ছেলের সোহাগের একবছর আগে অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে লিবিয়ায় যায়। দালাল তানজিলুলের খব্বরে পরে তার দরিদ্র পিতার কান্নায়যেন একমাত্র সম্বল। ৪ ছেলে ১ মেয়ে মাঝে সোহাগই বড় সংসারের সুখ ফিরিয়ে আনতে দাললদের লোভের স্বীকার হয়ে প্রাণ দিতে হল তাকে। এলাকাবাসীর দাবী এ সব দালালদের আটক করে আইনের আত্ততায় আনার। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন বলেন, ভৈরবে যদি মানব পাচারচক্র থাকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
×