ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লাইফ সাপোর্টে সাবেক ফুটবলার হেলাল

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২৯ মে ২০২০

লাইফ সাপোর্টে সাবেক ফুটবলার হেলাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলাল এখন জটিল সীমারেখার মাঝ বরাবর অবস্থান করছেন। জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝিতে তার এই শঙ্কাজনক অবস্থান। ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ বরিশালে জন্ম নেয়া হেলালকে। জানা গেছে, হেলাল স্ট্রোক করেছেন। তার মাথার অভ্যন্তরে এতটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে যে, এই মুহূর্তে ডাক্তারদের পক্ষে অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। না! সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন ভয়ানক এক দুঃসংবাদও- হেলালের বাঁচার সম্ভবনা খুবই কম। তাছাড়া করোনা-পরিস্থিতির কারণে বিদেশে বা অন্য কোন হাসপাতালে নেয়ারও সুযোগ নেই। তাই এখন একটাই উপায়- কায়োমনোবাক্য মহান আল্লহর কাছে প্রার্থনা করা! আরও জানা গেছে- মস্তিকে রক্তক্ষণের পর বাসা থেকে যখন বের করা হয় হেলালকে তখন তিনি বমি করেছিলেন। হাসপাতালে আসার পর একটু হাত পা নাড়লেও এখন পুরোপুরিই অচেতন। কৃত্রিমভাবে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। কিডনি সমস্যায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সেই থেকে ডায়ালাইসিস চলছিল তার। ক্লাব ফুটবলে আবাহনীতে খেলেন ১৯৭৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত। আবাহনীতে খেলেছেন ৭ নম্বর জার্সি পরে। মাঝে ১৯৮১ সালে বিজেএমসিতে কাটিয়ে আবারও প্রিয় ক্লাব আবাহনীতে ফিরে এসেছিলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন ১৯৭৯-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। তার প্লেয়িং পজিশন ছিল রক্ষণ, মাঝমাঠ। আক্রমণভাগেও খেলেছেন মাঝে মধ্যে। হেলালের থ্রু পাস ও ব্যাকভলির অনেক সুনাম ছিল। আবাহনীর কর্মকর্তা হিসেবেও তাকে দেখা গেছে লম্বা সময়। ১৯৭৮ সালের লীগে ওয়ারীর কাছে দু’বার হেরেছিল আবাহনী। পরের বছরই লীগে ওয়ারীকে হারিয়ে আবাহনী প্রতিশোধ নেয়। সেই ম্যাচেই হেলাল দারুণ এক হ্যাটট্রিক করেন যা তার লীগ-ক্যারিয়ারের প্রথম। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবল দিয়ে জাতীয় স্তরে খেলা শুরু হেলালের। পরের বছরই ডাক পান সিনিয়র দলে। ১৯৮২ সালে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে গোলযোগের অপরাধে আবাহনীর যে চার ফুটবলারকে জেলে নেয়া হয় গোলাম রাব্বানী হেলাল তাদেরই একজন। বাকি তিনজন কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার। হেলাল বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন ২০০৮ সালে।
×