ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিষাক্ত মদ খেয়ে তিন জেলায় দম্পতিসহ ২১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৯ মে ২০২০

বিষাক্ত মদ খেয়ে তিন জেলায় দম্পতিসহ ২১ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দিনাজপুরের বিরামপুরে এ্যালকোহল পানে স্বামী-স্ত্রীসহ নয়জন মারা গেছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৫ জন। এছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জে স্পিরিট খেয়ে তিনদিনে ১০ জন মারা গেছেন। আর বগুড়ার ধুনটে বিষাক্ত মদ খেয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তৌহিদুর রহমান ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদী এ্যালকোহল খেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হোমিও ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বিরামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বিরামপুরের মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। স্থানীয় লোকজন জানান, বিরামপুরের মাহমুদপুরে গভীর রাত পর্যন্ত এ্যালকোহল ও চোলাই মদের আসর বসে। সেখানেই বিষাক্ত এ্যালকোহল খেয়ে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হন। স্থানীয়রা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বুধবার ভোরে তাদের বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর ও রংপুরে নিয়ে যাওয়ার পথে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলো বিরামপুর পৌর শহরের হঠাৎপাড়া মহল্লার শফিকুল ইসলাম (৪০) ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৩২), শান্তিনগর গ্রামের আনো ম-লের ছেলে আব্দুল মতিন (২৭), মাহমুদপুর গ্রামের সুলতান আলীর ছেলে মহসিন আলী (৩৮), তোজাম আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৩), ইসলামপাড়া গ্রামের তাপস রায়ের ছেলে অমৃত রায় (৩০), আব্দুল আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪২) ও মাহমুদপুর গ্রামের সাবেক কমিশনার আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলিম (৩০)। রংপুর ॥ পীরগঞ্জে ও বদরগঞ্জে ঈদ উদযাপনে নেশা জাতীয় বিষাক্ত স্পিরিট পানে তিন দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। পীরগঞ্জের শানেরহাট ও বদরগঞ্জের শ্যামপুরে এ দুটি ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শানেরহাট ইউনিয়নে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়ে কেউ মুখ না খুললেও নেশা জাতীয় স্পিরিট পানে মৃত্যু ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপর ঘটনায় বদরগঞ্জের শ্যামপুরে বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করে ঈদ উৎসব পালন করতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, গোপালপুর ইউনিয়নের নুর ইসলাম (৩০) এবং রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের সরোয়ার হোসেন (৩১) ও মোস্তফা কামাল (৩০)। এদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার ও মোস্তফা কামাল এবং বুধবার সকালে নুর ইসলাম মারা যান। তিনজনই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শানেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু জানান, মঙ্গলবার সকালে শানেরহাট খোলাহাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), পাহাড়পুরের জাইদুল হক (৩৫) ও মিঠাপুকুরের বাজিতপুর গ্রামের চন্দন কুমারের (৩০) মৃত্যু হয়। এর আগের দিন সোমবার রাতে রায়তি সাদুল্ল্যাপুরের দুলা মিয়া (৫২) এবং হরিরাম সাহাপুরের লাল মিয়া (৩০), মাদক ব্যবসায়ী নওশা (৫০) ও শানেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সেলিম সরকার মারা গেছেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বগুড়া ॥ ধুনটের কালেরপাড়া গ্রামে বিষাক্ত মদ খেয়ে আল আমিন (২৮) ও আব্দুল আলিম (৩০) নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
×