ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে দর্শকের জন্য ছিল ভার্চুয়াল বিনোদন

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৯ মে ২০২০

ঈদে দর্শকের জন্য ছিল ভার্চুয়াল বিনোদন

গৌতম পাণ্ডে ॥ গভীর বেদনায় আজ পৃথিবী আচ্ছন্ন। তবুও থেমে থাকে না আনন্দ উৎসব। মুসলমান সম্প্রদায়ের বড় দুটি ধর্র্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদ-উল-ফিতর অন্যতম। ঈদ মানে আলো, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। তাই অন্ধকার সরিয়ে সবার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে ঈদ। আর এই আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ প্রিয়জনদের সঙ্গে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা, বিনোদন কেন্দ্রে ভ্রমণ কিংবা ঘরে বসে টেলিভিশন চ্যানেলে নতুন নতুন নাটক, সিনেমা বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করা। কিন্তু এবারের ঈদ এসব বিনোদন থেকে একেবারে ভিন্ন বলা যায়। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গ্রাস করে নিয়েছে এসব আনন্দ। সিনেমা হলে তালা, মঞ্চে জ্বলছে না আলো, বিনোদন কেন্দ্র লকডাউন। ঘরবন্দী মানুষের একমাত্র বিনোদন বলতে আছে টেলিভিশন চ্যানেলে ঈদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ। বাংলাদেশে করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে শুরু থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব রকম শুটিং। যার ফলে এবার ঈদের জন্য নতুন কোন নাটক, সিনেমা বা বিনোদনমূলক কোন অনুষ্ঠান উপহার দিতে পারে নাই কোন টিভি চ্যানেল। তাই বলে থেমে থাকেনি চ্যানেলের বিনোদনমূলক কোন অনুষ্ঠান। সবকটি চ্যানেলে পুরনো নাটক, সিনেমা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দর্শকের জন্য ছিল অন্যরকম বিনোদন অনুষঙ্গ। এবার ভার্চুয়াল এই ঈদ আনন্দে চ্যানেল আইয়ের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঈদ-উল-ফিতরে চ্যানেল আই ৮ দিনব্যাপী সাজিয়েছে বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানমালা। এ সকল অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে শীর্ষ নির্মাতাদের নির্মাণে এবং শীর্ষ শিল্পীদের অভিনয়ে নতুন ১৬ নাটক এবং আফজাল হোসেন ও অপি করিম অভিনীত ৮ পর্বের নতুন নাটক ‘রেখা’। এ ছাড়াও ছিল বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদের ৭ চলচ্চিত্র ও ৪ টেলিফিল্মসহ ১০ টেলিফিল্ম। দর্শকের জন্য আরও ছিল গানের অনুষ্ঠান, তারকাদের আড্ডা, গেম শো এবং শাইখ সিরাজের কৃষকের ঈদ আনন্দ। এছাড়া বাড়তি আনন্দ দিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ জনপ্রিয় দুই নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ও সালাহউদ্দিন লাভলু স্পেশাল।
×