ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনা ও ধরলায় নৌকাডুবি ॥ শিশুসহ ১৪ লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩:১০, ২৯ মে ২০২০

যমুনা ও ধরলায় নৌকাডুবি ॥ শিশুসহ ১৪ লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম ॥ ঈদের পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর স্থলচর এলাকায় ৭০ যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নদীতে ভেসে ওঠা এক শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ জনকে। এদিকে কুড়িগ্রামের উলিপুরে ধরলা নদীতে নৌকাডুবির ১৮ ঘণ্টা পর নিখোঁজ চারজনের মরদেহ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। বৌভাতের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জের যমুনায় নৌকা ডুবে নিহতরা হলেন বেলকুচির গয়নাকান্দি গ্রামের জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে নাইম (৪), শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন (৪০), আজিজুল হক (৩৮) এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শেখ কামাল মোল্লা (৪৫)। এখনও পাঁচজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। লাশগুলো ফুলে ফেঁপে বিকৃত হয়ে গেছে বলে চৌহালী থানা পুলিশ জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগ ধান কাটা শ্রমিক। তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে টাঙ্গাইলে ধান কাটার কাজে যাচ্ছিলেন। জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ জানান, ঈদের পরে এমন ঘটনায় পুরো জেলাবাসী শোকাহত। নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আহতদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা ৭০ যাত্রী নিয়ে চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে প্রচ- বাতাসের কবলে পড়ে। এ সময় মাঝি নিয়ন্ত্রণ হারালে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়। এ দিনই স্থানীয়রা ৫০ জনকে জীবিত এবং পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বাকি পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কুড়িগ্রাম ॥ উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কাশিমবাজার এলাকায় ধরলা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১৮ ঘণ্টা পর এক নারীসহ নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মেয়ের বিয়ের বৌভাতের দাওয়াত খেয়ে ফেরার সময় এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে মেয়ের বিয়ের বৌভাত খেয়ে ৫০ জন একটি নৌকায় করে সাতভিটা থেকে কাশিম বাজারে ফেরার পথে ধরলা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় বাকিরা উদ্ধার হলেও মেয়ের বাবাসহ চারজন নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ধরলা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
×