ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিপদ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে ॥ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

আয় রোজগারের পথ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখা সম্ভব নয়

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ২৯ মে ২০২০

আয় রোজগারের পথ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখা সম্ভব নয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সঙ্কটে অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় চালু করতে দেশব্যাপী চলমান লকডাউন আরও কিছুটা শিথিল করার কথা জানিয়ে বলেছেন, অনির্দিষ্টকাল জনগণের আয়ের পথ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের এই মহামারী শীঘ্রই দূর হবে না। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না। যতদিন না কোন প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করেই হয়তো আমাদের বাঁচতে হবে। জীবন-জীবিকার স্বার্থে চালু করতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকা-। ঈদ-উল-ফিতরের আগের দিন রবিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিপদে ধৈর্য ধারণ করার জন্য জনগণের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারী আসবে। সেগুলো মোকাবেলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সঙ্কট যত গভীর হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোন কঠিন কাজ নয়, তা আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। আপনাদের সহযোগিতা এবং সমর্থনে আমরা করোনাভাইরাস মহামারীর আড়াই মাস অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছি। যতদিন না এই সঙ্কট কাটবে, ততদিন আমি এবং আমার সরকার আপনাদের (দেশবাসী) পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণ ওইদিন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে জনগণের সহায়তায় সরকার যে সব কর্মসূচী চালু করেছে, তা বর্তমান সঙ্কট না যাওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, ততদিন এসব কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। সারাবিশ্বের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় সকল দেশই ইতোমধ্যে লকডাউন শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে তো নয়ই। দেশের সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুঃসময়ে আপনি আপনার দরিদ্র প্রতিবেশী, গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর কথা ভুলে যাবেন না। আপনার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী যারা সামনে থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ সরকারের নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তাদেরকেও শুভেচ্ছা জানান। সুপার সাইক্লোন আমফানের আঘাতে জান-মালের ক্ষতিতে দুঃখ প্রকাশ করে লোকসানের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, কথায় আছে বিপদ কখনও একা আসে না। করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে গত বুধবার রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ আঘাত হানে। আল্লাহর অশেষ রহমত ও সরকারের আগাম প্রস্তুতির কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যাতে ব্যাপক ক্ষতি না হয়, সে জন্য বিভিন্ন দ্বীপ, চরাঞ্চল এবং সমুদ্র-উপকূলে বসবাসকারী ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ ও প্রায় ৬ লাখ গবাদিপশু আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বাত্মক প্রস্তুতি সত্ত্বেও গাছ ও দেয়াল চাপায় বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন এবং বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আমরা ইতোমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি এবং ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা নামক এক প্রাণঘাতী ভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। তার উপর ঘূর্ণিঝড় আমফানের তা-বে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার বিস্তাররোধে সরকারের পদক্ষেপ প্রঙ্গগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা চিকিৎসা সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি করেছি। সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাসপাতালকেও আমরা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করেছি। জরুরী ভিত্তিতে ২ হাজার ডাক্তার এবং ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। হাসপাতালগুলোতে সকল ধরনের রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর্মহীন মানুষের সহায়তার জন্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য সহায়তা ছাড়াও দেয়া হচ্ছে নগদ অর্থ। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৭ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১০ টাকা কেজি টাকা দরে বিক্রির জন্য ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মে মাসে দরিদ্র পরিবারের জন্য অতিরিক্ত ৫০ লাখ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা এই চাল কিনতে পারবেন। কাজ হারিয়েছেন কিন্তু কোন সহায়তা কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত নন এ ধরনের ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং মসজিদের ইমামদের জন্যও সরকারের পৃথক বরাদ্দ প্রদানের কথা তুলে ধরে বলেন. কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য দু-দফায় ১৭ কোটিরও বেশি এবং সারাদেশের মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকা- এবং উৎপাদন ব্যবস্থাকে পুনরায় সচল করতে তার সরকার ইতোমধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তিনি বলেন, রফতানিমুখী শিল্প, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প, কৃষি, মৎস্য চাষ, হাঁসমুরগি ও পশুপালন খাতসহ ১৮টি অর্থনৈতিক খাতকে এসব প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা হয়েছে। কাজ হারানো যুবক ও প্রবাসী ভাইবোনদের সহায়তার জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনকে ৫শ’ কোটি টাকা করে সর্বমোট ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই দুর্যোগ মুহূর্তে বোরো ধানের বাম্পার ফলন আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। ইতোমধ্যে বোরো ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ। কৃষক যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য ইতোমধ্যেই আমরা ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করেছি। চলতি মৌসুমে ২২ দশমিক ২৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে, যা গত বছরের তুলনায় ২ লাখ মেট্রিক টন বেশি। তিনি বলেন, ধান কাটা-মাড়াইয়ে সহায়তার জন্য আমরা কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টর এবং রীপার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। এজন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দুর্যোগ মুহূর্তে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় কৃষক ভাইবোন ও কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং ধানকাটায় সহযোগিতা করার জন্য ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলাম ধান কাটা-মাড়াইয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে। আমার নির্দেশ শিরোধার্য করে নিয়ে তারা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে কৃষকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধান কাটায় সহায়তা করেছে। এ জন্য কৃষকদের কোন অর্থ ব্যয় করতে হয়নি। কৃষকরাও দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন।’ রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা কার্যকর করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কাজে যোগ দিতে পারেননি, তারাও শতকরা ৬০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একদিকে মালিকদের আয় যেমন বন্ধ রয়েছে, তেমনি কর্মচারীরাও বিপাকে পড়েছেন। বেশিরভাগ দোকান মালিকের কর্মচারীদের বেতন দেয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাঁর সরকার ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য নিয়মনকানুন মেনে কিছু কিছু দোকানপাট খুলে দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন এবং যারা দোকানে কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন, আপনারা অবশ্যই নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। ভিড় এড়িয়ে চলবেন। করোনার সংক্রমণ যেন না বাড়ে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সকলকে পুনরায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। মনে রাখবেন আপনি সুরক্ষিত থাকলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে, প্রতিবেশী সুরক্ষিত থাকবে, দেশ সুরক্ষিত থাকবে। সঙ্কট যত গভীরই হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ান কোন কঠিন কাজ নয় তা আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। আপনাদের সহযোগিতা এবং সমর্থনে আমরা করোনাভাইরাস মহামারীর আড়াই মাস অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছি। যতদিন না এই সঙ্কট কাটবে, ততদিন আমি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঈদ-উল ফিতরের দিন সোমবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে তাঁকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।’ প্রেস সচিব বলেন, প্রায় পাঁচ মিনিটের ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জনগণের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতিও কামনা করেন। নরেন্দ্র মোদিও বাংলাদেশর জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং উন্নয়ন কামনা করেন । রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর পূর্তিতে রাজাপাকসেকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ফোন করে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, ‘শেখ হাসিনা বুধবার সকালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন এবং তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাঁকে (রাজাপাকসে) আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রেস সচিব জানান, টেলিফোনে কথোপকথনের সময় দুই প্রধানমন্ত্রীই পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন এবং এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় পূণর্ব্যক্ত করেন। দুই নেতা উভয় দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
×