ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লকডাউন শিথিলে উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ বাণিজ্যিক কর্মকা- বাড়াতে গঠন করা হচ্ছে টাস্কফোর্স

অর্থনীতি সচলের চেষ্টা ॥ সকল কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২৯ মে ২০২০

অর্থনীতি সচলের চেষ্টা ॥ সকল কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করার উদ্যোগ

এম শাহজাহান ॥ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাণিজ্যিক কর্মকা-ের গতি ফেরাতে চালু করা হচ্ছে উৎপাদনমুখী সকল শিল্পকারখানা। বেচা-বিক্রি বৃদ্ধি ও ক্রেতাদের মার্কেটমুখী করতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নেয়া হবে নানা কর্মসূচী। ঈদের পর খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট, তবে কাঁচাবাজারে বেচা বিক্রি কম। করোনা সঙ্কট মোকাবেলা করে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে লকডাউন শিথিল করে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে ফিরে যাচ্ছে সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগানো হবে। জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। এছাড়া সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকা- ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ বাস্তবতায় লকডাউন শিথিল ও পর্যায়ক্রমে তা উঠিয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকা- স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। আগামী রবিবার থেকে সকল পর্যায়ে দেশে স্বাভাবিক কর্মকা- শুরু হতে যাচ্ছে। এদিকে চলমান লকডাউনের সময়েও কিছু মানুষ প্রতিদিন কাজ করেছেন। ডাক্তার, নার্সসহ চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতরা সবাই কাজ করেছেন এবং স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করেছেন। সেনাবাহিনী এবং পুলিশবাহিনীর সদস্যরা এ সময় সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলেন। তারাও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করেছেন। ব্যাংকাররাও কাজ করছেন। অনেক মানুষ ব্যাংকে গেছেন এবং লেনদেন করেছেন। একইভাবে রাষ্ট্রের জরুরী বিভাগের লোকজনও কাজ করেছে। ওষুধ কারখানার লোকজন কাজ করেছেন এবং ওষুধ উৎপাদন করেছেন। ওষুধের দোকান এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলা ছিল। আবার কাঁচা বাজারও খোলা ছিল। রাস্তাঘাটে রিক্সা চলাচল অবাধ ছিল। জরুরী প্রয়োজনে বিমান ও চলাচল করেছে এবং যাত্রীও পরিবহন করেছে। কৃষকরা এবার দলবেঁধে ধান কেটেছেন এবং শত শত মানুষ এক সঙ্গে হাওড়ের ধান কেটেছেন। গণমাধ্যম কর্মীরা কাজ করেছেন। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জীবিকার বিষয়টি নিয়েও সরকারকে ভাবত হচ্ছে। আর এ কারণে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জনকণ্ঠকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের বাণিজ্যিক কর্মকা- পরিচালনা করা হচ্ছে। আর এ কারণে বাজারে সরবরাহ চেইন ঠিক আছে এবং জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস কারখানায় কাজ হচ্ছে, সময়মতো শিপমেন্ট দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করছে, কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, করোনার ক্ষতি মোকাবেলা ও তা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে একটি একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অন্তত ১৪টি খাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়া লকডাউনে দিনে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি গবেষণা সংস্থা। কাঁচামালের অভাবে দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানার উৎপাদন সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। একইভাবে কমে আসছে আমদানিনির্ভর পণ্যের সরবরাহ। এ অবস্থায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে যদি বিশেষ বিশেষ এলাকায় লকডাউন শিথিল করা না হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতি আরও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। সুতরাং দেশের ব্যবসা ও অর্থনীতি সচল রাখতে স্বাস্থ্য, খাদ্য ও চিকিৎসা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাবশ্যকীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্যান্য দেশ কী করছে সে আলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ক্রমাম্বয়ে লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়ায় যেতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞের। এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, করোনাভাইরাস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। অর্থনীতিতে এটা এখন দৃশ্যমান। আমাদের দেশে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেশি হচ্ছে। কবে এই পরিস্থিতি ঠিক হবে আমরা জানি না। কেউই এটা বলতে পারবে না কবে ঠিক হবে। যখন ঠিক হবে তখন ডাটা দিয়ে বোঝানো যাবে ক্ষতির পরিমাণ কত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনার প্রভাবের শুরুটা দেরিতে হয়েছে। তাই আমাদের শেষটাও দেরিতে হবে। সে হিসেবে আমাদের লকডাউনটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই লকডাউন যত দীর্ঘস্থায়ী হবে তত বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। এজন্য অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কিভাবে সব কিছু খুলতে পারব, সে বিষয়টি জরুরী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ আস্তে আস্তে খোলার কথা চিন্তা করছে। গঠন করা হবে টাস্কফোর্স। করোনার অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারী-বেসরকারী খাতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কাজ করবে এই টাস্কফোর্স। এছাড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এ কারণে শীঘ্রই এই টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পরিবর্তিত বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ যেসব সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করবে তা তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশীরা সরাসরি জানতে চায় ভিয়েতনাম, চীন, ইন্দোনেশিয়া তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা কি? যত দ্রুত সম্ভব একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। তারা সুযোগ-সুবিধাগুলো জানাবে। টিপু মুনশি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক বড় বড় কোম্পানি অনেক দেশ থেকে তাদের বিনিয়োগ স্থানান্তর করবে। আমরা সেই সুযোগটা যদি নিতে পারি তাহলে করোনা পরিস্থিতি থেকে কিছু সুযোগও পাওয়া যাব। পাশাপাশি কর্মহীনতার ধাক্কাটাও সামলানো যাবে। দোকানপাট কাঁচাবাজার খুলতে শুরু করেছে। ঈদের পর রাজধানীতে দোকানপাট ও কাঁচাবাজার খুলতে শুরু করেছে। তবে বেচা বিক্রি নেই কাঁচাবাজারগুলোতে। করোনার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে অনেকে নাড়ির টানে গ্রামে গেছেন। এছাড়া ক্রেতা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী কাঁচা সবজির দোকানগুলো বন্ধ রেখেছেন। আগামী রবিবার থেকে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সবজি বিক্রেতা হারুন জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদের পর বাজারে ক্রেতা নেই। আর এ কারণে বেচা বিক্রি কম। এদিকে আগামী রবিবার থেকে দোকানপাট, মার্কেট বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলো খুলে যাবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ। সংগঠনটির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, জীবনের সঙ্গে জীবিকাটা জরুরী। করোনার কারণে দোকানদার ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পয়সার অভাবে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী অনেকে কিনতে পারবে না। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করতে হবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির সিনিয়র গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে প্রাধিকার দেয়ার সুযোগ কম। স্বাস্থ্য ঝুঁকিটাই এই মুহূর্তে সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এ জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য পণ্য উৎপাদন, কৃষিপণ্য উৎপাদন, কৃষিপণ্য ও কাঁচামাল আমদানি এবং জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন ও আমদানি বিতরণ এ ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির ক্ষেত্রে যদি দুর্বলতা দেখাই তাহলে অর্থনৈতিক ঝুঁকি গভীরতর হবে। স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্থানে যত দেরি হবে আমাদের অর্থনীতি আগের অবস্থানে ফিরে আসা তত দেরি হবে। সুতরাং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খাদ্য ও চিকিৎসা নিরাপত্তার জন্য যতটুকু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দরকার সেটা চালাতে হবে। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে লকডাউনের কারণে প্রতিদিন কৃষিতে ক্ষতি হচ্ছে ২০০ কোটি টাকা। শিল্প খাতে দিনে ক্ষতি হচ্ছে এক হাজার ১৩১ কোটি টাকা। উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে ক্ষতির মাত্রা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ খাতে প্রতি দিনের অনুমিত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। সেবা খাতে দিনে ২০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে? প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক ক্ষতি সবচেয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে সেবা খাতে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বেচা-কেনা এবং জরুরী সেবা ছাড়া এই খাত মূলত অবরুদ্ধ। সব ধরনের যোগাযোগ (সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথ), পর্যটন, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, রিয়েল এস্টেটসহ সব ধরনের সেবা একেবারেই বন্ধ। স্বাস্থ্য খাতের বেসরকারী অংশটিতেও এক প্রকার অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সব মিলিয়ে সেবা খাতে প্রতিদিনের অনুমিত চলতি ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে দুই হাজার কোটি টাকা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় বাংলাদেশ সরকারও বড় অঙ্কের (প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা) প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজ অর্থনীতিতে কতটুকু গতি ফিরিয়ে আনতে পারবে তা নির্ভর করবে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী মোট ক্ষতির পরিমাণ এবং প্রণোদনা প্যাকেজের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ওপর। বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এরই মধ্যে দেশের অন্তত ১৪টি খাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেদনে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পোশাক খাতের অ্যাক্সেসরিজ, প্রসাধন, বৈদ্যুতিক পণ্য, পাট সুতা, মুদ্রণ শিল্প, চিকিৎসা সরঞ্জাম, চশমা, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিক পণ্য, কাঁকড়া ও কুঁচে এবং প্লাস্টিক শিল্পসহ মোট ১৩ খাতের ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের প্রাথমিক হিসাব বলছে, আমদানি-রফতানি সঙ্কুচিত হওয়ায় কয়েকটি খাতে অন্তত ৬০০০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে কাঁচামালের অভাবে দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানার উৎপাদন সঙ্কুচিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একইভাবে কমে আসছে আমদানিনিভর পণ্যের সরবরাহ। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশে এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে শতকরা ১.৮ থেকে ২.৮ ভাগের মধ্যে। অর্থাৎ এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি থাকতে পারে শতকরা ৩ ভাগের নিচে। অথচ ৬ মাস আগেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল এই প্রবৃদ্ধি হবে শতকরা ৬.৩ ভাগ।
×