ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে বেজিং

চীনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা ॥ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২৯ মে ২০২০

চীনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা ॥ ট্রাম্প

চীনের হংকং নিরাপত্তা আইন চালুর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। সপ্তাহ শেষের আগেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলো মঙ্গলবার চীনের কর্মকা- ‘খুবই বিরক্তিকর’ এবং দেশটি ‘বড় ধরনের ভুল’ করছে বলে মন্তব্য করার পর ট্রাম্প এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানালেন। এদিকে চীনের সামরিক বাহিনীকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার রাজধানী বেজিংয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ও পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্সেসের সব স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সিনহুয়া ও এনডিটিভি অনলাইনের। চীনের পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবারই প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইন পাসের কথা রয়েছে। এ আইন চালু হলে হংকংয়ের বিশেষ স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের করা আইনে হংকং যে বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা পাচ্ছে তাও প্রশ্নের মুখে পড়বে। চীনকে ঠেকাতে কি ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে? নিষেধাজ্ঞা আরোপ নাকি চীনা ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের জন্য ভিসা বন্ধ করা? হোয়াইট হাউজের নিউজ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে খোলাসা করে কিছু বলেননি তিনি। ট্রাম্প কেবল বলেন, এখন কিছু একটা করা হচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতে তিনি সেটি নিয়ে কথা বলবেন। নিষেধাজ্ঞা আসছে কিনা তা আবারও জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, ‘না, এ বিষয়ে আপনারা জানতে পারবেন সপ্তাহ শেষের আগেই।’ বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি। এর আগে গত রবিবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়োন সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য ন্যাশন’ প্রোগ্রামে হংকংয়ের জন্য প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইনকে কেন্দ্র করে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই চীন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র কোন নতুন পদক্ষেপ নিলে এর পাল্টা ব্যবস্থা নেবে তারা। হংকং ইস্যু পুরোপুরি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়; এক্ষেত্রে কোন বিদেশী হস্তক্ষেপ মানা হবে না- সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে চীন। এদিকে সামরিক বাহিনীকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করতে, সব ধরনের জটিল পরিস্থিতি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে এবং দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা করার আদেশ দেন শি। তবে এক্ষেত্রে চীনের ওপর হুমকি সৃষ্টিকারী কোন নির্দিষ্ট ইস্যুর উল্লেখ করেননি তিনি। ৬৬ বছর বয়সী শি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সাধারণ সম্পাদক এবং দেশটির ২০ লাখ সদস্যের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর প্রধান। ভারত সীমান্তের লাদাখ ও উত্তর সিকিম অঞ্চলে চীন ও ভারতীয় বাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে থাকায় সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনী টহল বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়ায় সেখানেও দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
×