ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রবিবার থেকে চালু হচ্ছে শেয়ারবাজারের লেনদেন

প্রকাশিত: ২০:০৬, ২৮ মে ২০২০

রবিবার থেকে চালু হচ্ছে শেয়ারবাজারের লেনদেন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন চালু হচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে লেনদেন চালু বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭২৬তম কমিশন সভায় এ অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে আবারও চালু হচ্ছে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। বিএসইসির কমিশন সভার বিষয়ে নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রণীত সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অফিস আদেশ পরিপালন সাপেক্ষে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) লেনদেন ও সেটেলমেন্টসহ এ সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে অনাপত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ডিএসইএর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডিএসইর লেনদেন কার্যক্রম, ক্লিয়ারিং হাউসের কার্যক্রমসহ সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকবে। বিএসইসির সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন চালু করার অনুমতি দেওয়ায় কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আগামী রবিবার থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে। এর জন্য নতুন করে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভা করার প্রয়োজন নেই। ম্যানেজমেন্ট থেকে শিগগির বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ারবাজারও ২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ শুরু হয়েছে গত ২৬ মার্চ। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার সর্বপ্রথম গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর প্রথম দফায় ৭ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করে। এরপর ১১ দিন বাড়িয়ে সাধারণ ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, আরও ১০দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত এই বর্ধিত করা হয়। যা পঞ্চম দফায় ১১ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। আর সর্বশেষ ১৪ দিন সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকারের এই সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধাপে ধাপে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ রাখা হয়।
×