ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগের লাগাম টানল সরকার

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ২৮ মে ২০২০

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগের লাগাম টানল সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এতে করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কঠিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে এবার ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিমে বিনিয়োগের লাগাম টানল সরকার। এ খাতের একক নামে বিনিয়োগ ঊর্ধ্বসীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর যুগ্ম-নামে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ৬০ লাখ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। গত ২০ মে স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ জারির দিন থেকে কার্যকর হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক আমানতে সুদহার যখন ৬ শতাংশ তখন ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের কিংবা সঞ্চয়পত্রে সুদহার সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার খাত হিসেবে বিবেচিত এ খাতে অনেক ধনী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করছে। পাশাপশি এ খাত থেকে ঋণ নিলে সরকারকে বেশি পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে সরকারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে কালো টাকা এবং অতিরিক্ত বিনিয়োগ বন্ধে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এর এ নতুন মডিউলটি গত ১১ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উদ্বোধন করেন। জানা গেছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমটি অনলাইন তথা অটোমেশন হয়ে গেলে এতে বিনিয়োগ করার সময় একটি হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলতে হবে। আর হিসাব খোলার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। দুই লাখ টাকার বেশি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে চেকের মাধ্যমে। সঙ্গে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) সনদের কপিও দিতে হবে। যাদের হিসাব রয়েছে তাদেরকেও অনলাইন ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে।
×