ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ২৬ মে ২০২০

উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উজান থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীতে হঠাৎ করেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার(৫২.৬০ মিটার) ৮ মিটার নিচ দিয়ে (৫২.৫২ মিটার) পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তিস্তা ব্যারাজের উজান ও ভাটি অঞ্চলের চরগ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক ফসলিজমি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। তবে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখায় ঢলের পানি ভাটি অঞ্চলে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে প্রতি বছরের ঈদের ছুটিতে সপ্তাহ জুড়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকায় পর্যটক হিসাবে নারী পুরুষ শিশুদর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হতো। মেলার মতো বসতো ভ্রাম্যমান খাবার হোটেল,দোকানপাট ও খেলাধুলার রাইটস। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে এবার তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ছিল পর্যটক শুণ্য। কিন্তু ভারত থেকে দুই হাতী এসে নদীতে খেলা করছে গুজব ছড়িয়ে লোক সমাগমের চেস্টা চালায় ভ্রাম্যামান ব্যবসায়ীরা। উজান থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীতে হঠাৎ করেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়াপয়েন্টে বিপদসীমার(৫২.৬০ মিটার) ৮ মিটার নিচ দিয়ে (৫২.৫২ মিটার) পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তিস্তা ব্যারাজের উজান ও ভাটি অঞ্চলের চরগ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক ফসলিজমি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। তবে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখায় ঢলের পানি ভাটি অঞ্চলে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা পাড়ের লোকজন জানান, ভারী বৃস্টিপাত ও হঠাৎ ঢলে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে আসে। এতে নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে। চরখড়িবাড়ি,বাইশপুকুর,একতার চর এলাকাবাসী জানায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার ফসলিজমি তলিয়ে যায়। পানি কমে আসায় বিপদ কেটে গেছে। তিস্তা ব্যারাজের গ্রেডরিডার নুরুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি কখনো বৃদ্ধি কখনো কমে আসে। গত দুই দিন ধরে উজানের পানি বৃদ্ধি পেলেও আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।বর্তমানে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার কোন লক্ষন নেই। তবে ভারী বৃস্টিপাত শুরু হলে উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে আবার যে কোন সময়। হাতীর গুজবঃ-ঈদুল ফিতরের পরের দিন আজ মঙ্গলবার পর্যটক শুন্য তিস্তা ব্যারাজ কমান্ড এলাকায় লোক সমাগমে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটতে কৌশল অবলম্বর করে একটি গুজব ছড়িয়ে দেয়। গুজবটি বিশ্বাস করে অনেকে তিস্তা ব্যারাজের দিকে ছুটেও আসতে শুরু করে। অনুসন্ধ্যানে জানা যায় ঈদ দিন সকালে তিস্তা ব্যারাজ সংলগ্ন জাওরানী গ্রামের প্রভাষক আব্দুস ছালামের বাড়ির পাশ থেকে একটি অসুস্থ ময়ূর উদ্ধার করা হয়। ময়ুর দেখতে ছুটে আসে শতশত মানুষজন। ময়ুরটি ঝড়ের কারণে সীমান্তের ওপাড় থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে প্রাণী সম্পদ বিভাগ রংপুর চিড়িয়াখানায় ময়ুরটি প্রেরন করেন। বাস্তব এই ঘটনাটি পুঁজি করে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে দেয় এবার ভারত থেকে দুটি হাতী তিস্তা ব্যারাজে এসে নদীতে খেলা করছে। এমন দৃশ্য দেখতে তার দুরদুরান্তে গুজব ছড়িয়ে মানুষজনকে আহবান জানাতে থাকে। চারিদিকে হৈই হৈই রৈই রৈই পড়ে যায়। গুজবকে বিশ্বাস করে নারী পুরুষ শিশুরা ছুটতে থাকে তিস্তা ব্যারাজপানে। বিষয়টি নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন অবগত হলে তাৎক্ষনিকভাবে গুজব প্রতিরোধ ও ছুটে আসা মানুষজনকে রুখতে মাঠে নেমে পড়ে। সেখানে পুলিশ ছুটি গিয়ে ভ্রাম্যমান ব্যবসা প্রতিষ্টানগুলোতে হটিয়ে ছুটে আসা মানুষজনকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান গুজবের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়ে জানতে পারে করোনা ভাইরাসের কারনে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে সীমান্তের ওপার হতে দুটি হাতী এসে খেলা করছে তিস্তা ব্যারাজ এলাকার কিছু ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী হাতীর গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল। পরে পুলিশ সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে সকল মানুষজনকে ফিরিয়ে দিয়েছে।ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান পরবর্তি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় কোন ভ্রাম্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দর্শনার্থী সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
×