ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনার উপসর্গ নিয়ে মাদারীপুরের শিবচর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৭:১২, ২৫ মে ২০২০

করোনার উপসর্গ নিয়ে মাদারীপুরের শিবচর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুর জেলার শিবচরে করোনার উপসর্গ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। একই উপসর্গ থাকায় তার স্ত্রী ও ২ ছেলেকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ধারণা প্রকৌশলীর ছেলেরা ঢাকা ও টুঙ্গী থেকে আসায় পরিবারটি করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিবচর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিনহা খসরু (৫২) গত ১৮ মে জ¦র অনুভব করায় ছুটিতে যান। ২০ মে সে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে চিকিৎসা ও ওষুধ পথ্যাদি দিয়ে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। ২৩ মে তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার রাতে (২৪ মে) তার প্রচন্ড শ^াস কষ্ট অনুভব হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রীরও শ^াস কষ্ট এবং ২ ছেলের জ¦র অনুভব হওয়ায় তাদের ৩ জনকে আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি শিবচর পৌর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তার ছেলেরা ঢাকা ও টুঙ্গীতে লেখাপড়া করে। সম্প্রতি তার ছেলেরা শিবচর বাসায় আসলে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে না রেখে একসাথে সবাই বসবাস করতেন। সিনহা খসরু দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বড়বোলী এলাকার আমির খসরুর ছেলে। শিবচর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোঃ আকমল হোসেন বলেন, “১৮ মে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে ছুটিতে ছিলেন। রবিবার রাতে তার প্রচন্ড শ^াস কষ্ট হলে শিবচর থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।” শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস বলেন, “২৩ মে এই ব্যক্তির করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার ছেলেরা ঢাকা ও টুঙ্গী থেকে আসায় পরিবারটি করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে। উপসর্গ থাকায় তার স্ত্রী ও ২ ছেলেসহ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।” শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওই কর্মকর্তার নমুনা নেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে। তাছাড়া নিহতের স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যেও করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
×