ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘আমফানে’ বাগেরহাটে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের হাঁসফাঁস

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ২৩ মে ২০২০

‘আমফানে’ বাগেরহাটে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের হাঁসফাঁস

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’এর তান্ডবে সুন্দরবন সন্নিহিত উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা হাঁসফাস করছেন। ‘আমফানের’ ছোবলে জেলার প্রায় ৫ হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। মাঠে থাকা সবজি, আমনের বীজতলা, পাকা ধানসহ ১৭শ’ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে কৃষকদের কমপক্ষে সাড়ে ৬ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাটে ৪ হাজার ৬৮৬টি কাঁচাঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। বিধ্বস্থ ঘরগুলোর মধ্যে চার হাজার ৩৩৯টি ঘর আংশিক এবং ৩৪৭টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলার শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও সদর উপজেলার নদী সংলগ্ন ৮ স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শনিবারেও জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকায় মানবেতর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এঅবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে পুণর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ কনক বলেন, আম্পানের প্রভাবে জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটে ৪ হাজার ৬৩৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে কমপক্ষে দুই কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাটে ৭৮ হাজার ১’শ মাছের ঘের রয়েছে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, জলোচ্ছ্বাস ও অতিবর্ষণে মাঠের গ্রীষ্মকালীন সবজি ও আউশ ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে সাড়ে ৬ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। চাষিরা বলছেন, ভেড়িবাঁধ ও রাস্তা উপচে এবং বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘেরের মাছ বেরিয়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার সকালেও সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঝিডাঙ্গা, চাঁপাতলা, কলাবাড়িয়া-সহ অধিকাংশ গুচ্ছগ্রামে মানবেতর অবস্থা বিরাজ করছে। জোয়ারের পানিতে তাদের সবত ঘর থৈ থৈ করছে। জলমগ্ন থাকায় অধিকাংশ পরিবার রান্নাবান্না করতে পারছেন না। বাগেহাটের শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ হোল্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কয়েকশ মিটার ভেঙে লোকালয়ে নোনাপানি ঢুকে গাবতলী, বগী, দক্ষিণ সাউথখালী, খুরিয়াখালি, চালিতাবুনিয়া-সহ ৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানে দ্রুত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ আসনের সংদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন সরেজমিনে কাজের তদারকী করছেন। তাঁর ভাষায় ‘‘আমফানে’ আমার এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
×