ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৩ মে ২০২০

৪০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়া উপজেলার কর্মহীন ও অভাবগ্রস্ত মানুষের পাশে নিবিড়ভাবে রয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় তিনি এখন গরিবের বন্ধু হিসেবে খ্যাত। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৪ মার্চ ২০৫০ অসহায় পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ১৮ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ প্রদানের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. মোঃ রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় বিগত প্রায় দুই মাসে কেবল কসবা উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৯ হাজার ৬০৫ কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারকে ২ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবান দেয়া হয় এবং তা হত দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়। এসব ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন তিনি। করোনাকালে যারা ফোন করে বা অন্য কোনভাবে খাদ্য সমস্যার কথা বলেছেন, তাদের বাসায় জরুরীভিত্তিতে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বিগত প্রায় দুই মাসে তার তত্ত্বাবধানে কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নে ৫০২৭ পরিবারকে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকার, মেহারী ইউনিয়নে ১৭২০ পরিবারকে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বাদৈর ইউনিয়নে ১৮৬৫ পরিবারকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, খাড়েরা ইউনিয়নে ৩২৫৮ পরিবারকে ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪০০ টাকার, বিনাউটি ইউনিয়নে ২০৩৫ পরিবারকে ১২ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকার, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ৫৩৮২ পরিবারকে ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, পশ্চিম কসবা ইউনিয়নে ২৩৪২ পরিবারকে ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, কুটি ইউনিয়নে ৩৩৮০ পরিবারকে ১০ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকার, কাইমপুর ইউনিয়নে ৩৫৯১ পরিবারকে ১৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার, বায়েক ইউনিয়নে ৫৯০৬ পরিবারকে ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকার এবং কসবা পৌর এলাকায় ৫০৯৯ পরিবারকে ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
×