ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পেরিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৩ মে ২০২০

পেরিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের চারটি সংসদীয় আসন শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। পেরিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণও। কিন্তু কখন এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা কেউ-ই বলতে পারছেন না। করোনাকাল দূর হওয়ার অপেক্ষায় নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। শূন্য আসনগুলো হলো- বগুড়া-১, যশোর-৬, পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু দেশে করোনা হানা দেয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তা স্থগিত করে ইসি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সংসদীয় এসব আসন আর চট্টগ্রাম সিটির ভোট নিয়ে বৈঠক করা জরুরী। এদিকে, সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনে সেটা মানা সম্ভব হয়নি। সংবিধানে এটাও বলা আছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকের কারণে’ উপনির্বাচন সম্পন্নের জন্য আরও ৯০ দিন সময় পাওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশন এখন সেই সুযোগ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ শূন্য আসন দুটির উপনির্বাচনে এখনও যথেষ্ট সময় আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘বগুড়া ও যশোর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন করার জন্য আমাদের হাতে ৯০ দিন সময় আছে। এছাড়া এমপিদের মৃত্যুতে ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনও শূন্য। এসব নির্বাচন পরে করা যাবে। কারণ এখন করোনার কারণে দেশে মহামারী চলছে। এজন্য আমরা সবাই ঘরেই থাকছি।’ এর আগে অর্থাৎ মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। সেসময় ওই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়ে সাংবিধানিকি প্রতিষ্ঠানটি। এবার সে পথে হাঁটতে চান না তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে সরকারী ছুটি চলছে। দেশে এখন নির্বাচন করার কোন পরিস্থিতি নেই। করোনা চলে গেলে এসব নির্বাচন নিয়ে আমরা বসব। কবে এসব নির্বাচন হবে, এখন তা বলা যাচ্ছে না।’ জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসব নির্বাচন করার জন্য আমরা ৯০ দিন সময় পাই। সে সময় পার হয়েছে। এখন করোনাভাইরাসের মহামারী চলছে, এটা দুর্যোগ। সংবিধান ও নির্বাচনী আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে আরও ৯০ দিন সময় দেয়া হয়েছে ভোটের জন্য। সুতরাং কোন তাড়া নেই আমাদের। আরও অন্তত তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। এরপরও যদি সম্ভব না হয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুরাহের জন্য সুপ্রীমকোর্টের কাছে পাঠাবেন। অনেক সময় রয়েছে। উপযুক্ত সময়েই কমিশনে এ নিয়ে বসব।’ প্রসঙ্গত, গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন শূন্য হয়। পাবনা-৪ আসনের (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গত ২ এপ্রিল। ঢাকা-৫ আসনের (ডেমরা-দনিয়া-মাতুয়াইল) সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গত ৬ মে। তারা মারা যাওয়ায় আসনগুলো শূন্য হয়।
×