ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন চালুর জন্য চীনের তোড়জোড়

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২৩ মে ২০২০

হংকংয়ে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন চালুর জন্য চীনের তোড়জোড়

বিক্ষোভ উত্তাল হংকং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিতর্কিত একটি জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর পরিকল্পনা করেছে চীন। চীনের পার্লামেন্ট ‘ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস’ (এনপিসি) শুক্রবারের বার্ষিক অধিবেশনে এ আইন চালুর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়। ‘এসট্যাবলিশিং এ্যান্ড ইমপ্রুভিং দ্য লিগ্যাল সিস্টেম এ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ম্যাকানিজম অব হংকং’ শিরোনামে বিষয়টি এনপিসি’র আলোচ্যসূচীতে স্থান পেয়েছে। খবর বিবিসির। হংকংয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিদ্রোহ, সহিংসতা, সন্ত্রাস, বৈদেশিক হস্তক্ষেপসহ স্বাধীনতাপন্থী শক্তির উত্থান ঠেকাতে আইনটি চালু করতে চাইছে চীন। মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, এ আইন হংকংয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতার টুঁটি চিপে ধরতে পারে। গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে কয়েকমাস ধরেই উত্তাল থাকা হংকংয়ে নতুন করে এ নিরাপত্তা আইন চালুর পদক্ষেপ জোরালো বিরোধিতার মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হংকং সরকার এর আগে ২০০৩ সালে আইনটি চালু করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিল। রাস্তায় ৫ লাখ লোকের প্রতিবাদের পর আর আইন চালুর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আটকে থাকা ওই আইনই গত ১৫ এপ্রিলে হংকংয়ে জরুরী ভিত্তিতে চালুর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলেছিলেন সেখানকার বেজিং লিয়াজো অফিসের শীর্ষ চীনা কর্মকর্তা। তিনি বলেছিলেন, হংকংকে জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং হংকং যাতে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে না ওঠে তা নিশ্চিত করতে হবে। হংকংয়ের ‘বেসিক ল’ অর্থাৎ, মিনি সংবিধানের আর্টিকেল ২৩ অনুযায়ী, চীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনরকম বিদ্রোহ প্রতিহত করতে এই জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর বিধান আছে। কিন্তু এতে মানবাধিকার এবং বাগ্ স্বাধীনতার মতো অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কার কারণে এ আইন সেখানে কখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি হংকংয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় বিতর্কিত এই বিল আবার টেবিলে এলো।
×