ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

একই সময়ে করোনা রোগীর সুস্থতার হার বেড়েছে

ভারতে এক দিনে সর্বাধিক আক্রান্ত

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২৩ মে ২০২০

ভারতে এক দিনে সর্বাধিক আক্রান্ত

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, একদিনে সে দেশে মোট ৬,০৮৮ জনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে। একদিনে আক্রান্তের এ সংখ্যা দেশটির জন্য রেকর্ড। একই সময়ে ভারতে মোট ১৪৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। শুক্রবারসহ দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ১৮ হাজারে পৌঁছাল। মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৩,৫৮৩ জনে। ভারতে পজিটিভ বা এ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বর্তমানে ৬৬,৩৩০টি। ৪৮,৫৩৪ জনকে করোনা থেকে সুস্থ করে তুলেছে ভারত। তবে আশার কথা হলো দেশটিতে করোনা রোগীর আরোগ্য লাভের হার ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটির ৪০.৩১ শতাংশ করোনা রোগীর আরোগ্য লাভের রেকর্ড ছিল, শুক্রবার তা ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশে পৌঁছায়। খবর এনডিটিভি ও পিটিআই অনলাইনের। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভারতজুড়ে জারি থাকবে লকডাউন। এই ১৪ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে চলেছে রেল মন্ত্রণালয়। জুন মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন ২০০টি ট্রেন চলবে বলে জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রেও যাত্রীদের ফেস মাস্ক লাগিয়ে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ট্রেনে চড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ট্রেনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে না। এর আগে প্রাথমিকভাবে ১৫ জোড়া বিশেষ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন চালু করা হয়। ১২ মে থেকে চালু হয় ট্রেন পরিষেবা, তবে শর্তসাপেক্ষে। কোন কোন ট্রেন চলে সপ্তাহে ২ দিন, কোনটা ৩ দিন আবার কোন ট্রেন চলে প্রত্যেকদিনই। এই বিশেষ এসি ট্রেনগুলোতে যাত্রা কিছুটা নিয়ম মেনে করানো হচ্ছে। এই ট্রেনে চড়া যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে তামিলনাডু। আক্রান্তের সংখ্যায় এর মধ্যে চীনকে পেছনে ফেলেছে ভারত। ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৪৪ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে বিশ্বে এখন ভারতের অবস্থান ১১ নম্বরে। ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার অবশ্য চীনের চেয়ে কম। চীনে মারা গেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করোনা রোগী। ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশের। চীনে এখন ১০০ জনেরও কম কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যদিও উহানে গত সপ্তাহে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার মানুষ। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ভারতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দেন, আগামী ১৭ মের পরেও উঠছে না লকডাউন। ১৮ মে থেকে সেখানে জারি হয় চতুর্থ ধাপের লকডাউন, ভারতে যাকে বলা হচ্ছে ‘লকডাউন ৪.০’। তবে লকডাউন জারি রেখেই বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কথাও বিবেচনা করছে দেশটি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরতেই হবে, তাই প্রথমেই শিথিল করা হতে পারে বিমান ও স্থানীয় পরিবহনগুলো চলাচলে জারি রাখা নির্দেশিকা। অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের ডাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৬২ দেশের সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের সমর্থন জানিয়েছে ভারতও। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ২৪০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৯১ জন।
×