ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লালবাগে কবুতর চোর চক্রের মূল হোতার সন্ধান

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ২২ মে ২০২০

লালবাগে কবুতর চোর চক্রের মূল হোতার সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌখিন পাখি প্রেমিকদের কাছে কবুতর একটি অন্যতম পোষা পাখি।আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে গিরিবাজ কবুতর দিয়ে রেস করানো এবং উড়ান প্রতিযোগিতা একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। আমাদের দেশি রেসিং লাইনের এই সব গিরিবাজ কবুতর দশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের হয়ে থাকে। তাই বাজারে ভালো রেসিং ব্লাডলাইনের কবুতরের চাহিদা থাকায় এবং ভালো দাম থাকায় শখের এই কবুতর চুরি করা থেকে শুরু করে চুরির এই কবুতর কেনাবেঁচা করার জন্য রয়েছে চোরেদের এক বিশাল অবৈধ সিন্ডিকেট। সম্প্রতি রাজধানীর প্রভাবশালী এক শৌখিন কবুতর প্রেমীর বাসা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার কবুতর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ( মামলা প্রক্রিয়াধীন) তদন্ত করতে যেয়ে বেরিয়ে আসে কবুতর চুরির একটি বিশাল সিন্ডিকেটের কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই চক্রের প্রধান হোতা সহ চুরি থেকে শুরু করে চুরির এই কবুতর কেনাবেচা করার জন্য অবৈধ এই সিন্ডিকেটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে প্রায় ৫০জনেরও বেশি সদস্য। এক সিন্ডিকেটের মুল হোতার বসবাস শহীদ নগরের এক বস্তিতে।বস্তির এক ঘরে এই চোরের সর্দার তার নিজের চুরি কৃত এবং তার সিন্ডিকেটের চোরদের চুরি কৃত কবুতর এনে জমা করে। তাদের এই কাজের জন্য অগ্রিম দাদন ও দেওয়া হয়ে থাকে।সাধারণ ক্রেতারা এই দালাদ চক্রের কাছ থেকে কমদামে ভালো মানের কবুতর পাওয়ায় না জেনে চুরির কবুতর কিনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার ও হয়ে থাকে। চক্রের এই প্রধান তার শহীদ নগর বস্তির ভাড়া ঘর ছাড়াও বিভিন্ন সময় তার সহযোগীদের বাসায় ও চুরির এই কবুতর লুকিয়ে রাখে।চক্রের এক চোর হাতেনাতে ধরা খেয়ে এলাকা বাসীর কছে কিছু তথ্য দেয়। সম্প্রতি কবুতর চুরি প্রতিরোধ করতে দেশের বিভিন্ন জেলার শৌখিন পালক ও খামারিরা মিলে "পায়রা চুরি প্রতিরোধ ও তদন্ত সংস্থা" নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।সংগঠনটি কবুতর চুরি সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করেন এবং প্রশাসনিক এই তদন্তের শেষে অচিরেই কবুতর চুরি চক্রের মুল হোতা শহীদ নগর নিবাসী সেই ব্যক্তির ছবি, নাম ঠিকানাসহ চক্রের বিভিন্ন তথ্য সংগঠনটির সদস্যরা তাদের ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ /টুইটার এবং ওয়েব সাইডে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে।
×