ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টি২০ বিশ্বকাপ

সাকিব খেলতে পারলে খুশি হবেন কোচ ডোমিঙ্গো

প্রকাশিত: ০০:১২, ২২ মে ২০২০

সাকিব খেলতে পারলে খুশি হবেন কোচ ডোমিঙ্গো

মিথুন আশরাফ ॥ টি২০ বিশ্বকাপ এবার হওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। অক্টোবরে শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপ সময়মতো নাও হতে পারে। পিছিয়ে যেতে পারে। তাই যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন। ২৯ অক্টোবর সাকিবের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাবে। যদি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যায় এবং সাকিবও খেলতে পারেন, তাহলে খুশি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। সঙ্গে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে নয়, তরুণ পেসারদের নিয়ে যে বিশেষভাবে ডোমিঙ্গোও ভাবছেন, তাও বুঝিয়ে দেন। ডোমিঙ্গো এ নিয়ে বলেন, ‘যদি এটা (টি২০ বিশ্বকাপ সময়মতো) না হয় তাহলে আমাদের আবার নতুন করে সব শুরু করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা সাজাতে হবে আবারও। আর যদি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যায় তাহলে আমরা সাকিবকে পাচ্ছি, যা আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক একটা দিক।’ বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে সাকিবের জন্যই মূলত খুশি ডোমিঙ্গো। দল যে অনেক শক্তিশালী হয়ে যাবে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপ সঠিক সময়ে হবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই জোরালো। যদিও বিশ্বকাপ আয়োজনে এখনই হতাশার চিত্র দেখতে রাজি নয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তারা সঠিক সময়ে আয়োজন করার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্তম টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা করছে। ২৮ মে আইসিসির সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হবে। আলোচনা শেষেই জানা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বিশ্বকাপ পেছালে বাংলাদেশের জন্যই যে ইতিবাচক হবে, তাও মনে করেন ডোমিঙ্গো। তিনি ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘শেষ ৬-৭ মাস আমরা শুধু টি২০ বিশ্বকাপ নিয়েই কথা বলেছি। কারণ এটাই আমাদের পরবর্তী বড় ইভেন্ট। আশা করছি বিশ্বকাপ হবে। আমাদের আরও এক-দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে।’ সূচী অনুযায়ী বিশ্বকাপ ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নবেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদি সঠিক সময়ে হয়, তাহলে সাকিবের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে। আর পেছালেই সাকিব খেলতে পারবেন। তাতে বাংলাদেশ দলেরই উপকারটা হবে। মাশরাফি এখনও ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি। তিনি নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু খেলা চালিয়ে যাবেন। মাশরাফি অবসর না নিলেও, ভাবনায় যে খুব একটা ভালভাবে আছেন; তা নয়। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ডোমিঙ্গো। সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বুঝিয়ে দিয়েছেন মাশরাফিকে অবসর নিয়ে ফেলা উচিত। ডোমিঙ্গোও ইঙ্গিতটা তেমনই দিলেন। জানিয়েছেন তিনি মাশরাফিকে নিয়ে নয়, তরুণদের দিকে দৃষ্টি দিতে রাজি। ২০২৩ ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্বাভাবিকভাবে মাশরাফি খেলবেন না। এখন থেকেই তাই দল গড়তে হবে। আর দল গড়তে হলে তরুণদের আরও সুযোগ দিতে হবে। তা করতে গেলে মাশরাফিকে পেছনে রাখতেই হবে। ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে মাশরাফির খেলার সম্ভাবনা এখনও অনেক দূরে। মাশরাফি খেলবে কিনা এটা অবশ্যই তার ওপরে। এরপর নির্বাচকরা তাকে দলে ভেড়ায় কিনা এটা তাদের ব্যাপার। আমি তরুণ ও সম্ভাবনাময় কয়েকজন পেসার দেখছি। আমি তাদের খেলায় নিয়ে আসতে চাই। আমরা যখন একত্রিত হব, তখন এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ গত বিশ্বকাপে মাশরাফির পারফর্মেন্স অনেক খারাপ হয়। পুরো বিশ্বকাপ খেলে মাত্র ১ উইকেট নিতে পারেন। তখন থেকেই কথা উঠে মাশরাফির অবসরের। কিন্তু মাশরাফি বুঝিয়ে দেন, তিনি অবসর নিচ্ছেন না। তবে নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। ওয়ানডের নেতৃত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের হয়ে গত পাঁচ বছরে মাত্র পাঁচ ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পারেননি মাশরাফি। এরমধ্যে দুটি ম্যাচ স্লো ওভার রেটের নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলেননি। এবার থেকে মনে হচ্ছে, মাশরাফির দলের একাদশে না থাকার দিন আসছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শেষ হলে খেলা মাঠে গড়ালেই তা বোঝা যাবে। তবে ডোমিঙ্গোর এখন সব ভাবনা টি২০ বিশ্বকাপ নিয়েই। তা যে অনেক বড় ইভেন্ট। এই ইভেন্ট আবার পিছিয়ে গেলেই খুশি হন ডোমিঙ্গো। তখন যে সাকিব খেলতে পারবেন। আর তিনি খেললে দলও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
×