ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চোরাইপথে পদ্মা পার

আরও দুই ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে নৌপুলিশ

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ২২ মে ২০২০

আরও দুই ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে নৌপুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী পারাপার বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টা থেকে এই নৌরুট দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ নৌরুটে কোন নৌযান চলাচল করছে না। তবুও বৃহস্পতিবার কিছু লোক পারাপারের আশায় শিমুলিয়া আসে। শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে সকল প্রকার চলাচল বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীকে চোরাই পথে পারাপার করতে এক শ্রেণীর অসাধু ট্রলার ও সিবোট চালকরা তৎপরতা চালায়। তবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে নয়। পুলিশের নজরদারি এড়াতে তারা মাওয়া পুরাতন ফেরি ঘাট থেকে ট্রলারে করে যাত্রী পারাপারের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নৌপুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪৮টি ট্রলার ও ২টি সিবোট আটক করেছে। এর মধ্যে ১৯টি ট্রলার তারা পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়। এসব তথ্য দিয়ে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, গত মঙ্গলবার থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান দিয়ে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে প্রশাসন। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কড়া নজরদারি করছে নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবারও ভেঙ্গে ভেঙ্গে কিছু যাত্রী আসছে মাওয়ার দিকে। তবে তারা শিমুলিয়া ঘাটে না গিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে পুরাতন ফেরি ঘাটে চলে যাচ্ছে। এখানে একটি সিন্ডিকেট চক্র ট্রলার ও সিবোট দিয়ে ওপারে চর জানাজাত ঘাটে এসব যাত্রী পারাপার করে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সকাল থেকে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ৫টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। যাত্রী নামিয়ে এর মধ্যে দুটি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে বুধবার পর্যন্ত ১৭টি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। সর্বমোট ৪৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে, এর মোট ১৯টি ট্রলার পর্যন্ত ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২টি সিবোটও জব্দ করা হয়েছে অবৈধভাবে লোকজন পারাপারের জন্য। তবে এখন আর মানুষের ঢল নেই শিমুলিয়া ঘাটে। একেবারে শান্ত ঘাটের পরিস্থিতি।
×