ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তাইপেকে হেভিওয়েট টর্পেডো দিচ্ছে ওয়াশিংটন

চীনা নীতি না মানার হুমকি তাইওয়ানের

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ২২ মে ২০২০

চীনা নীতি না মানার হুমকি তাইওয়ানের

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েই চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থার নীতি জোরালভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন সাই ইং-ওয়েন। চীনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, দুপক্ষেরই সহাবস্থানের একটি পথ খুঁজে বের করা প্রয়োজন। রাজধানী তাইপের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বুধবার শপথ নেয়ার পর উদ্বোধনী বক্তব্যে সাই বলেন, তাইওয়ান এবং চীনের সম্পর্ক একটি ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনের মুখে পৌঁছেছে। ‘দীর্ঘমেয়াদে সহাবস্থানের পথ খুঁজে বের করা এবং বিরোধ, বৈরিতা বাড়তে না দেয়া দু’পক্ষেরই দায়িত্ব।’ আমি এখানে শান্তি, সমতা, গণতন্ত্র এবং সংলাপ- এ শব্দগুলোই আবার উচ্চারণ করতে চাই। আমরা বেজিং কর্তৃপক্ষের তাইওয়ানের মর্যাদা ক্ষুণœকারী এক দেশ, দুই ব্যবস্থার নীতি মেনে নেব না।’ তবে চীনের সঙ্গে আলোচনা চান বলে জানিয়েছেন সাই। সাইয়ের এ কথার প্রতিক্রিয়ায় চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় বলেছে, তারা এক দেশ, দুই ব্যবস্থাতেই অটল থাকবে। এ নীতি কেউ এমনকী কোন শক্তিই রুখতে পারবে না। তাইওয়ান স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর কোন সুযোগও পাবে না। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাইয়ের ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। সাই চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। সাই তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সাই প্রথম নির্বাচনে জয়লাভের পরই চীন তাইওয়ানের সঙ্গে সরকারী আলোচনা বন্ধ করেছে। তাইওয়ান চীনের অখণ্ড অংশ দাবি করার পাশাপাশি প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে একীভূত করার কথা বলে আসছে বেজিং। অন্যদিকে সাইয়ের কথায়, তাইওয়ান হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন নামে একটি স্বাধীন দেশ। তিনি হংকংয়ে বিদ্যমান ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ তাইওয়ানে প্রয়োগের বিরোধিতা করে আসছেন শুরু থেকেই। জানুয়ারিতে নির্বাচনের আগে দিয়ে সাই বলেছিলেন, হংকংয়ের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ বাস্তবসম্মত নয়। এ ব্যবস্থায় সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। এক দেশ দুই ব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এদিকে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের এই উত্তেজনার মধ্যে তাইপের কাছে ১৮ কোটি মার্কিন ডলারের হেভিওয়েট টর্পেডো বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে পারস্পারিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কারণে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের সম্পর্কে আরও টানাপোড়েন তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই বিক্রয় অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এছাড়া বলা হয়েছে এই অস্ত্র পাওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রহণকারীর নিরাপত্তার উন্নয়ন হবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। -আলজাজিরা
×