ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমফানে পশ্চিমবঙ্গে ৭২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৫২, ২২ মে ২০২০

আমফানে পশ্চিমবঙ্গে ৭২ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সুপার সাইক্লোন আমফানের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত রাজ্যটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বানার্জী রাজ্যের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বৃহস্পতিবার নিজেই আমফানে ৭২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। সেই সঙ্গে আমফান পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও আহ্বান জানালেন তিনি। একের পর এক জেলা থেকে বিপর্যয়ের খবর শুনে বুধবার রাতে নবান্নে বসে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেন মমতা। দক্ষিণবঙ্গে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তার সেই আবেদনে সাড়া এক টুইট বার্তায় মোদি বলেছেন, গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে। মোদি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আমফান যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, সেই দৃশ্য দেখেছি। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে সারাদেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে আছে। রাজ্যের মানুষের শুভ কামনা করছি।’ তিনি আরও জানান, এই চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে সব রকমভাবে সহযোগিতা করা হবে পশ্চিমবঙ্গকে। পরে আরও একটি টুইট করে মোদি বলেন, ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন তারা।’ আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত রাজ্যটি। বুধবার পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ে আমফান। ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিসহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতি ছিল আমফানের। কোথাও আবার এর গতি উঠেছিল ১৮৫ কিলোমিটার। আমফান যেভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তা নিয়ে বুধবারই মমতা বলেন, ‘সব হিসাব উল্টে গেছে। কারও ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পুরো বাংলার ওপর দিয়ে গেল। করোনার জন্য অর্থনীতির অবস্থা শেষ। তার পর এই দুর্যোগ। কোন রোজগার নেই। পুনর্গঠন করতে অনেক টাকা লাগবে।’ এদিকে সুপার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবে ল-ভ- হয়ে গেছে ভারতের অন্যতম ব্যস্ত কলকাতা বিমানবন্দরও। ভেঙ্গে পড়েছে বিমান রাখার হ্যাঙ্গারও। পানিতে ভেসে গেছে গোটা রানওয়ে। চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি। টানা কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে পানিতে ভেসে গেছে বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গার। গোটা বিমানবন্দরের দশা এখন আধডোবা। ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দরের একাংশের ছাদও। বিমানবন্দরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি হ্যাঙ্গারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সে দুটি হ্যাঙ্গার মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও পরিমাপ করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
×