ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অপহৃত শিশু সিফাত পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ২২ মে ২০২০

অপহৃত শিশু সিফাত পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আট ঘণ্টার অভিযান শেষে অপহৃত শিশু সিফাতকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরঝিলের বাসার সামনে থেকে অপহৃত হয় রংমিস্ত্রী ফিরোজ হওলাদারের ছোট ছেলে সিফাত (৬)। পরে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ফিরোজ হাওলাদার হাতিরঝিল থানা পুলিশকে জানান। এরপর থেকে পুলিশ টানা এই অভিযান চালিয়ে রাতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে শিশু সিফাতকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, অপহরণকারী মূলহোতা মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হাতিরঝিল থানা পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুর সোয়া একটার দিকে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে সিফাতের বাবা ফিরোজ হাওলাদারকে মোবাইলে ফোন করে জানানো হয়, সিফাতকে অপহরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তার ছেলে সিফাতকে ফিরে পেতে পারেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে বা কোনরকম চালাকি করলে ছেলের লাশের খোঁজও পাবেন না। পরে অপহৃত সিফাতের বাবা ফিরোজ পুরো বিষয়টি হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশীদকে মোবাইলে জানান। তবে অপহরণকারীদের হুমকিতে ভয় পেয়ে সিফাতের বাবাকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধা দিচ্ছিলেন সিফাতের মা। পরে সিফাতের মাকে বুঝিয়ে দুই বছর আগে তোলা সিফাতের একটি সাদাকালো ছবি পুলিশকে দেয়া হয়। পুলিশ সেই ছবি নিয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে। পাশাপাশি পুলিশের নির্দেশনা মোতাবেক অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণের ব্যাপারে যোগাযোগ করে যাচ্ছিলেন সিফাতের বাবা। এরই সূত্র ধরেই বুধবার রাতে পাটুরিয়া ঘাটের একটি টং ঘরের দেয়াল ঘেঁষে ঘুমন্ত অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর অপহৃত শিশু সিফাত জানায়, সে বাসার বাইরে খেলার সময় মিলন নামের একজন চকোলেট কিনে দেয়ার জন্য তাকে দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। অপহৃতের বাবা ফিরোজ জানান, কয়েক মাস ধরে মিলন তার সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। সে হিসেবে মিলন প্রায়ই হাতিরঝিলের বাসায় আসা যাওয়া করত। যে কারণে তাকে মামা ডাকত সিফাত। হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশীদ জানান, টানা ৮ ঘণ্টা অভিযানের পর অপহৃত শিশু সিফাতকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী মিলন পালিয়ে যায়।
×