ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৮৬ হাজার অসহায় পরিবারকে ঈদ উপহার পাঠাবে ডিএনসিসি

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২১ মে ২০২০

৮৬ হাজার অসহায় পরিবারকে ঈদ উপহার পাঠাবে ডিএনসিসি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারকে ঈদ উপহার পাঠানো হবে। ৫৪ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের প্রত্যেকের মাধ্যমে এক হাজার করে মোট ৭২ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার বিতরণ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় মেয়র এ কথা জানান। মেয়র জানান, করপোরেশনের ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১৮ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের প্রত্যেকের মাধ্যমে এক হাজার করে মোট ৭২ হাজার পরিবারের কাছে ঈদের উপহার পাঠানো হবে। এছাড়া অন্যান্যের মাধ্যমে আরো ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হবে। ঈদ উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে এক কেজি করে চিনি, আধা কেজি সুজি, এক কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি মিনিকেট চাল, এক কেজি ময়দা ও ২৫০ গ্রাম গুঁড়া দুধ। যেসব পরিবার ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা, ওএমএস কার্ড এবং অন্য কোনোভাবে ত্রাণসামগ্রী পাননি মেয়র তাদের মাঝে এসকল ঈদ-উপহার বিতরণ করার নির্দেশ দেন। কোনো পরিবারকে যেন একাধিকবার ঈদ-উপহার দেয়া না হয় সেজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে এসব ঈদ-উপহার বিতরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস মোকবেলায় চলমান অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র। আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি এলাকার এক হাজার ৮৯০টি মসজিদের ইমামদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে ঈদ উপহার ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। মেয়র বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমাদেরকে অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। সকল ত্রাণসামগ্রী বা ঈদ-উপহার স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করতে হবে।’ আতিকুল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য রাজস্ব আদায় বন্ধ আছে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রসারিত এলাকার কলকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ অবিলম্বে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ এডিস মশা প্রতিরোধে চলমান চিরুনি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিরুনি অভিযান জনগণের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসা-বাড়ি, ভবন, নির্মাণাধীন স্থাপনা ছাড়াও যেকোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ ঈদের নামাজের জামাত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাসে গণসংক্রমণ রোধে কোনো অবস্থাতেই বাইরে ঈদের জামাতের আয়োজন করতে দেয়া যাবে না। এজন্য সকল কাউন্সিলরকে তিনি সচেতন থাকার নির্দেশ দেন। সভায় অন্যদের মধ্যে সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
×