ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মগবাজার থেকে অপহৃত শিশু সিফাত পাটুরিয়ায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২১ মে ২০২০

মগবাজার থেকে অপহৃত শিশু সিফাত পাটুরিয়ায় উদ্ধার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মগবাজার থেকে অপহৃত শিশু সিফাতকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতরাত পৌনে ১২টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালের দিকে বাসার সামনে খেলার সময় শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। কিন্তু অপহরণের পর অপহরণকারীরা পুলিশকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় পরিবার পুলিশকে কিছু জানাতে চাচ্ছিল না। পরে বিকাল তিনটার দিকে শিশুটির মগবাজারের বাসার সন্ধান পায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুকের তত্ত্বাবধানে উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে হাতিরঝিল থানার একটি টিম রাতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করে সিফাতকে। সিফাতের বাবা ফিরোজ হাওলাদার। পেশায় রঙমিস্ত্রি। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে মগবাজার ভাড়া বাসায় থাকে। বড় ছেলের বয়স ১১ বছর। ছোট ছেলে সিফাতের বয়স চার বছর। এ ব্যাপারে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শিশুটির অপহরণের খবর পাওয়ার পর অপহৃত সিফাতকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। ঝড়ের রাতেও পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শিশুর বাবা ফিরোজ হাওলাদার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে স্ত্রীর চিৎকারে রুমের বাইরে আসেন। তার স্ত্রী রুটি বানাতে ব্যস্ত থাকায় খেয়াল রাখতে পারেনি সিফাতের। পরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ফিরোজ ও তার স্ত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন মানুষ জড়ো হতে থাকে। এরপর তন্নতন্ন করে বাসার চারপাশ খোঁজা হয়। বাসা পেরিয়ে আশেপাশের রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পরিচিতদের বাড়িঘরে আজও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর দুপুর সোয়া একটার দিকে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে সিফাতের বাবার মোবাইলে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, সিফাতকে অপহরণ করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে সে তার ছেলেকে ফিরে পেতে পারে। পুলিশকে জানালে বা কোনোরকম চালাকি করলে ছেলের লাশের খোঁজও পাবে না। কিন্তু নিজের কাছে কোনো টাকা না থাকায় পুরো বিষয়টি মোবাইল ফোনে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদকে জানান সিফাতের বাবা। পরে পুলিশের পরামর্শে অপহরণকারীদের সাথে মোবাইলে মুক্তিপণের বিষয়ে নেগোসিয়েশন চালিয়ে যেতে থাকে ফিরোজ হাওলাদার। উদ্ধারের পর সিফাত জানায়, সে যখন বাসার বাইরে খেলছিল, তখন ‘মিলন মামা’ চকলেট কিনে দেয়ার কথা বলে দোকানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। জানা যায়, মিলন কয়েক মাস যাবত সিফাতের বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। বাসায় প্রায়ই আসতেন। মিলনকে মামা ডাকতো সিফাত। মিলনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
×