ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘূর্ণিঝড় আমফানে ভোলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি

প্রকাশিত: ১২:০৮, ২১ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আমফানে ভোলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ঘুর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেশ কিছু ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল গাছ চাপা ও ট্রলার ডুবিসহ ২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া জেলার চরফ্যাসন উপজেলার বঙ্গোপসাগর মোহনা ইউনিয়ন চর কুকরী মুকরী ও ঢাল চরে ৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া কুকরীর চর পাতিলা ও ঢাল চরে ৪/৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ৪/৫ শ পুকুর ও মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে আজ বৃহস্পাতিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হাকিম উদ্দিন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামুদ জানান, মনপুরা উপজেলায় ফয়েজ উদ্দিন, দক্ষিন সাকুচিয়া, সূর্য মুখি এলাকা, উত্তর সাকুচিয়া মাষ্টার এলাকা, রামনেওয়া এলাকায় ও তজুমদ্দিন উপজেলার বেড়িবাঁধও জোয়ারের পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য রাতে জিও ব্যাগ বসিয়ে রক্ষা করা হয়। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ও চাঁদপুর ইউনিয়নে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ ভোলা-৩ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ওই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন। এছাড়াও ভোলা সদরে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের পক্ষ থেকে তার নির্দেশে নেতাকর্মীরা রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। এছাড়া ভোলা কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সর্তক করায় আগাম বোর ধান কেটে নেয়ায় বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। বরং জোয়ারের পানিতে আউশ আবাদে উপকার হবে। তবে সবজি ক্ষেতে ১০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের প্রনোদনা দেয়া হবে বলে জানান, ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রিয়াজ উদ্দিন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ও গাছ চাপায় নিহত ২ জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।
×