ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক কারখানা ভাংচুরে বিজিএমইএ বিকেএমইএর প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০১:০৮, ২১ মে ২০২০

পোশাক কারখানা ভাংচুরে বিজিএমইএ বিকেএমইএর প্রতিবাদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে তৈরি পোশাক শিল্প খাত বিপর্যস্ত। ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল করছেন। অনেক ক্রেতা দেউলিয়াও হয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম একটি স্পর্শকাতর সময়ে শ্রমিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদেরকে ব্যবহার করে শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরাও রয়েছেন, যারা প্রকৃত শ্রমিক নন বলে দাবি করেছেন পোশাক মালিকরা। বুধবার রাতে পোশাক মালিকদের বড় দুটি সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ডিবিএল, ওপেক্স, মেডলার, ইমপ্রেস, ভিশন, ডিজাইনটেক্স, সেনটেক্স, সিভিক এপারেলস লিঃ ও ফকির নিটওয়্যারসহ অনেক পোশাক কারখানা ভাংচুর করা হয়েছে। বেলিসিমা ও সিভিক এপারেলস লিঃ-এর মালিকদের সরাসরিভাবে অপদস্থও করা হয়েছে, যা একান্তভাবে অনভিপ্রেত। এসব আইন বহির্ভূত ঘটনায় বহিরাগতদেরও উস্কানি রয়েছে বলে সংগঠন দুটি মনে করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গত ক’দিন ধরে বেতন ভাতা আন্দোলনের নামে যেভাবে পোশাক কারখানা ভাংচুর করা হচ্ছে, তাতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে গভীর উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে ছোট ও মাঝারি কারখানার পাশাপাশি বড় বড় কমপ্লায়েন্ট পোশাক কারখানা, যাদের কর্মপরিবেশ ভাল, বেতন ভাতাও নিয়মিত পরিশোধ করা হয়, সেগুলোও আন্দোলনের নামে ভাংচুর করে শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে বলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এই নৈরাজ্যজনক কর্মকা- বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠন দুটি।
×