ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুরস্রষ্টা আজাদ রহমান

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২১ মে ২০২০

সুরস্রষ্টা আজাদ রহমান

আজাদ রহমান । বাংলাদেশের সঙ্গীত ভুবনে একটি নক্ষত্রতুল্য নাম। সঙ্গীতাঙ্গনে তার অবদান হিমাদ্রীসম। তার সৃষ্ট হৃদয়স্পর্শী সুর এবং গান অগুন্তি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। একটা চিরকালিক সতেজ ভাব তার সৃষ্ট সুরের ধারায় মিশে আছে। সময়, তাকে এবং তার সৃষ্টিকে সহজে হনন করতে পারবে না! বিশেষ করে ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো, ভালবাসার মূল্য কত, ডোরাকাটা দাগ দেখে বাগ চেনা যায়, মনের ও রাঙে রাঙাব, ও চোখে চোখ পড়েছে যখনি, আকাশ বিনা চাঁদ, এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি , বন্দী পাখির মতো... গানগুচ্ছ যতদিন বাঙালীর কর্ণকুহরে পৌঁচ্ছে শান্তির অনুরণন সৃষ্টি করবে ততদিন আজাদ রহমান আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে থাকবে। কেবল সুর এবং গান-ই তিনি সৃষ্টি করেননি, গড়েছেন তার যোগ্য উত্তরসূরি। এখানেও তার কৃতিত্ব অবশ্যই অসামন্য। গত ১৬ মে শনিবার তিনি যখন ইহোলোক ছেড়ে পরোলোকে যাত্রা করেন, তখন এই ভয়ঙ্কর সময়েও নিজেকে গৃহবন্দী রাখতে পারেননি তার ¯েœহধন্য সুহৃদ সঙ্গীতশিল্পী খুরশিদ আলমকে। ব্যক্তিগত স্মৃতিমন্থণে কাঁপাকণ্ঠে প্রকাশ করেন বিগত এই মহতীর কথা। বলেন, জীবনে তিনি যদি ১০০ ছবির গানের সঙ্গীত পরিচালনা করে থাকেন, তাহলে ৯৬ ছবিতে আমি গান গেয়েছি। তিনি আমাকে কখনও ছেলে, কখনও ভাই বলতেন। তিনি আমার সত্যিকারের অভিভাবক। আমার মনে হয়েছে, আমি এতিম হয়ে গেছি। এমন হৃদয়স্পর্শী অভিব্যক্তি নিশ্চই তার প্রতি গভীর ভালবাসা এবং পরম শ্রদ্ধার বহির্প্রকাশ। অন্যদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের মতো কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী স্মৃতি থেকে তাকে তুলে এনে বলেন, মনে আছে, কলকাতা থেকে এসে আজাদ ভাই রেডিওতে কাজ শুরু করলেন। অনেকের সঙ্গে কাজ করলেও তাঁর কাজগুলো একেবারে অন্য রকম মনে হচ্ছিল, একদমই অন্য রকম। আমার বড় বোনসহ ফেরদৌসী রহমান আপারা যে ধরনের গান গাইতেন, তার চেয়ে একদমই আলাদা। একটা নিজস্বতা আছে। ক্ল্যাসিক্যালে যে তিনি পারদর্শী, তা তাঁর গান শুনে বোঝা যায়। তখন যে ধরনের গান চলত, তিনি মোটেও সে রকম গান বানাতেন না। এমন অনেক গুণী আছেন যাদের কাছে ‘আজাদ রহমান’ একজন মহতীর নাম। বাংলা খেয়াল রাগের প্রবর্তক এবং এই প্রতিপালক নিশ্চই আমাদের মাঝে যুগ যুগ ধরে সুরের ঝর্ণাধারার মতো প্রবাহিত হবেন। আনন্দকণ্ঠ প্রতিবেদক
×