ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমফানে প্রথম মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবী শাহ আলমের

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২১ মে ২০২০

আমফানে প্রথম মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবী শাহ আলমের

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ২০ মে ॥ সুপার সাইক্লোন আমফানে বাংলাদেশে প্রথম বলি হলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সৈয়দ শাহআলম। ৫০ বছর বয়সী এ মানুষটি স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিলেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গ্রামের মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষায় দুর্যোগে সতর্ক থাকার কাজ করছিলেন। ৩০ বছর শাহআলম ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচীর দলনেতা হয়ে কাজ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে অপরকে রক্ষায় জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যয় করলেন। বুধবার সকাল আনুমানিক নয়টায়, অপর চার সহকর্মীসহ আমফানের মহাবিপদ সঙ্কেতের প্রচার করছিলেন। ধানখালী ইউনিয়নের হাফেজ প্যাদার খালের খেয়া নৌকা পার হয়ে অপর পাড়ে যাচ্ছিলেন। আচমকা আমফানের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। হঠাৎ নৌকাটি উল্টে যায়। সবাই সাঁতরে কিনারে ফিরলেও ডুবে যায় হতভাগা শাহআলম। রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান জানান, শাহ আলমের সঙ্গে ছোট ছেলে সিয়ামও ছিল। বাবাকে কিনারে ফিরতে না দেখে ফের সাঁতরে গিয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস চোখের সামনেই প্রায় ৩০ ফুট গভীর কচুরিপানায় ভর্তি খালটির পানিতে তলিয়ে যায় তার বাবা। সন্তান হয়ে সিয়ামের জীবনের সবচেয়ে বড় বিয়োগান্তক ঘটনা হয়ে রইল বাবার এমন মৃত্যুতে। জানা গেছে, গলায় হ্যান্ড মাইক ঝুলানো ছিল। পায়ে গামবুট পরা, ড্রেসআপ ছিল রেডক্রিসেন্টের। এসব কারণেও হয়তো সাঁতার জানলেও গভীর খালে ডুবে গেছেন শাহআলম। সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান। স্থানীয় ডুবুরি দল দিনভর চেষ্টা করেও শাআলমের কোন খোঁজ মেলাতে পারেননি। বরিশাল থেকে আসা ডুবুরিরা সন্ধ্যা ছয়টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। সকলের ধারণা কচুরিপানার নিচে কোথাও আটকে ছিল। শত শত মানুষ দেশের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করা মানুষটির মৃতদেহ উদ্ধারের অপেক্ষায় দুই পাড়ে অপেক্ষা করেছে। স্ত্রীও রয়েছেন। তিন ছেলের জনক শাহআলম। সৈয়দ শাহআলম এখন গোটা দেশের মানুষের কাছে
×