ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত সশস্ত্রবাহিনী

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২১ মে ২০২০

আমফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত সশস্ত্রবাহিনী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্রবাহিনীর বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ যেকোন তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। খবর আইএসপিআর। সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমের সমন্বয় ইতোমধ্যে করেছে। নিজস্ব উৎস থেকে ১৮,৪০০টি ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করেছে এবং ৭১টি ছোট মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ১৪৫টি ছোট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ সংক্ষিপ্ত নোটিসে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ভূমিধস বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের রক্ষায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং উপকরণ যেমন ৩১৩টি স্পিডবোট, পনেরোটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট, ২৩৯ আউট বোর্ড মোটর, চারটি জাপানিস উদ্ধার বোর্ড, ছয়টি ফাইবার গ্লাস বোর্ড, ১১৫টি শার্ক বোর্ড, এবং দুটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইফটিলিটি/ ল্যান্ডিং ক্রাফট ভেহিকল প্রস্তুত রয়েছে। আর্মি এভিয়েশন উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনস্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নৌবাহিনী। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের জন্য নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং দুটি হেলিকপ্টার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভাসান চরে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় কেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী স্থানীয় প্রসাশনের সঙ্গে সর্বক্ষণিক যোগযোগ রাখছে। বিমানবাহিনীর সকল এয়ারক্রাফট ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমানবাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি পরিবহন বিমান ও ২২টি হেলিকপ্টার।
×