ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে আতঙ্কিত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২০ মে ২০২০

বাগেরহাটে আতঙ্কিত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’এর প্রভাবে সুন্দরবন সন্নিহিত উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রলঙ্করি সিডরের মত আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কিত লোকজন মহাবিপদ সংকেত জানার পর ঘুর্ণীঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। সাথে প্রয়োজনীয় মালামাল ও গবাদীপশু নিচ্ছেন। সারারাত থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও আজ বুধবার বিকেল থেকে বাতাসের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। এখানে সকল নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাঁধ নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। বলেশ্বর পানগুছি, পশুর-সহ সুন্দরবন সংলগ্ন সমুদ্রে ইতোমধ্যে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চু ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সুন্দরবন সন্নিহিত জেলার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ শরণখোলা, মোংলা ও মোড়েলগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ ভর আমাবশ্যার সময় ‘আমফানে’ বিধ্বংসি ঝড় ও জলোচ্ছাসের শঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় কাঁচাঘর বাড়ি, ফসল, গাছ-পালা ও বিদ্যুরে খুটি উপড়ে এবং জলোচ্ছাসে মারত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। তবে পুলিশ, কোষ্টগার্ড, নৌবাহিনী, সেচ্ছাসেবক, রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস-সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মাুষের সহযোগীতায় জেলা প্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগে ‘আমফান’ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করেছ। মোংলা বন্দরের সকল জাহাজ নিরাপদে নেওয়া হয়েছে। মালামাল ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয়দের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অব্যাহত মাইকিং চলছে। জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, চারটি উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল ও মোংলা উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ অধিকাংশ লোকজনকে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সকলকে করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৮৪টি মেডিকেল টিম, ৭টি ফায়ার সার্ভিস টিম কাজ করছে। ৯৭৭ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৭ জন মানুষ ও প্রায় ৮৫ হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। কেন্দ্রে গুলোতে আশ্রয় নেয়া জনসাধারনের মাঝে মাক্স, গ্লোভস ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতারন করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ১৩ মে.টন চাল নগত ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ. গো খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। নৌ-বাহিনী, কোষ্টগার্ড, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিসি অনুরূপ তৎপর রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×