ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় কুকরি ও ঢাল চরে ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২০ মে ২০২০

ভোলায় কুকরি ও ঢাল চরে ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও বঙ্গপগাসর বেষ্টিত দ্বীপ জেলায় ভোলায় আজ বুধবার ভোর রাত থেকেই ঝড়ো বাতাস বইছে। আমফানের প্রভাবে মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থেমে থেমে দমকা হাওয়া মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, সকাল থেকে ঢাল চরে ঝড়ো বাতাস বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েক ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনা হলেও সেখানে এখনো প্রায় ৪ হাজার মানুষ থাকায় তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেকে কোস্ট ট্রাষ্ট্রের অফিস ও পুলিশ ফাড়ির ভবনে আশ্রয় নিচ্ছে। অপর দিকে কুকুরী মুকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম জানান, আজ সকাল থেকে তার ইউনিয়নের চর পাতিলায় এলাকায় ৪/৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৩ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই চরফ্যাসনের দুর্গম ঢাল চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষকে মূলবুখন্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তবে ভোলা জেলা প্রশাস মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানিয়েছেন, ভোলার চরফ্যাসন, মনপুরাসহ দুর্গম এলাকার চরাঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাধি পশুকে আনা হয়েছে। এছাড়া করোনা প্রদুভাব মোকাবেলায় প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হালাকা সর্দি কাশ যাদের হবে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। রাত থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষকে খাবার দেয়া হয়েছে। জেলায় ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় নগদ ৭লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলের মানুষদের আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ১০ হাজার ২শ সেচ্ছাসেবী কর্মী।
×