ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরের শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী কমান্ডার সহযোগীসহ নিহত

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২০ মে ২০২০

কাশ্মীরের শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী কমান্ডার সহযোগীসহ নিহত

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে টানা ১২ ঘণ্টার গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন স্থানীয় সর্ববৃহৎ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার জুনাইদ আশরাফ সেহরাই ও তার সহযোগী। ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পংকজ সিং মঙ্গলবার জানান, শ্রীনগরের পাশে একটা এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল জুনায়েদ ও তার সঙ্গী। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী খবর পাওয়ার পর তাদের ঘিরে ফেলে অভিডান চালালে গোলাগুলির এক পর্যায়ে নিহত হন তারা। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, করোনার বিস্তার রোধে জনবহুল ওই এলাকার সড়কগুলোতে মানুষ নেই। কিন্তু মঙ্গলবার আধা সামরিক বাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনীর বিস্ফোরণে আশপাশের পাঁচটি বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও অন্তত দশটি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে গত ৬ মে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদিনের আরেক শীর্ষ কমান্ডার রিয়াজ নাইকু তার সহযোগীসহ নিহত হন। তিনি যে বাড়িতে লুকিয়েছিলেন সেটিকে ঘিরে ফেলে ওইদিন সকাল থেকেই প্রবল গুলিবর্ষণ করে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর কর্মীদের মধ্যে এমন সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়শই ঘটলেও শ্রীনগরে খুব কম এরমকটা দেখা যায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, গত দুই বছরের মধ্যে শহরটিতে দুই পক্ষের মধ্যে এমন গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো। আজকে যিনি নিহত হয়েছেন সেই জুনাইদ আশরাফ সেহরাই স্থানীয় শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মোহাম্মদ আশরাফ সেহরাইয়ের ছেলে। কাশ্মীরের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে ব্যাবসায় ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ২০১৮ সালে প্রথম দিকে তিনি এই সংগঠনে যোগ দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেনা সদস্যরা বাড়িগুলোতে আগুন লাগানো ছাড়াও কিছু ঘর থেকে স্বর্ণের জিনিসপত্র ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। নেতৃত্ব দেওয়া নিরাপত্তা কর্মীরা অবশ্য বলছেন, কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের দমনে জুনায়েদ হত্যা তাদের একটি বড় সাফল্য। আজকের এই গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট ছাড়া শ্রীনগরে মুঠোফোনে কথা বলার সংযোগ বিচ্ছিন করে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ফলে হত্যার সংবাদ চারপাশে ছড়িয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে তরুণ ও যুবকরা রাস্তায় নেমে ভারত বিরোধী ও বিদ্রোহীদের পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করে। তারা পুলিশসহ নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে এ সময়। নিরাপত্তা বাহিনীও কাঁদানে গ্যাস ও শটগান ছোড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
×