ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ শিল্প গুরু সফিউদ্দীনের প্রয়াণবার্ষিকী

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২০ মে ২০২০

আজ শিল্প গুরু সফিউদ্দীনের প্রয়াণবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের আধুনিক ছাপচিত্রের জনক শিল্পগুরু সফিউদ্দিন আহমেদ। জীবনব্যাপী সাধনা দ্বারা দেশের ছাপচিত্র জগতকে বিশ^মানে উন্নীত করেছেন পথিকৃৎ এই শিল্পী। উৎকর্ষম-িত করেছেন ছাপচিত্রের পাশাপাশি রেখাচিত্র ও তেলচিত্রের ভুবনকেও। শিল্পের এই দুই শাখায় রয়েছে তার ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রয়েছে বিপুল, অনুশীলন ও গভীর অভিনিবেশ। আজ বুধবার বরেণ্য এই শিল্পীর অষ্টম প্রয়াণবার্ষিকী। ২০১২ সালের ২০ মে নব্বই বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সফিউদ্দীন আহমেদের প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কমপ্লেক্সে তার সমাধিতে চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম পরিহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এজন্য এবার শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়াও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করবে চারুকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগ এবং গ্যালারি চিত্রক। সফিউদ্দিন আহমেদ চল্লিশের দশক থেকেই খ্যাতিমান চিত্রকর হিসেবে পরিচিত। তিনি তার সৃজনশক্তি, উৎকর্ষ ও পরিশীলিত বোধ এবং শিল্পমনীষা দ্বারা এদেশের চিত্রকলা অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন। এ দেশের ছাপচিত্রকলার তিনিই শিল্পগুরু। ১৯২২ সালে তিনি ভারতের কলকাতায় জন্ম নেয়া এই গুণী শিল্পী ১৯৪২ সালে কলকাতা সরকারী আর্ট স্কুল থেকে চারুকলায় স্নাতক এবং ১৯৫৮ সালে যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্টস এ্যান্ড ক্র্যাফটস থেকে এচিং ও এনগ্রেভিং-এ সম্মানের সঙ্গে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ১৯৪৮ থেকে ৭৯ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে ছাপচিত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দেশে-বিদেশে বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন সফিউদ্দিন আহমেদ। ২০০৮ সালে ৮৬তম জন্মবার্ষিকীতে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের উদ্যোগে বাংলাদেশে তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে তার সৃষ্টিসমগ্র নিয়ে ‘শিল্পের অশেষ আলো’ শিরোনামে দুই পর্বে দুটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। চারুশিল্প ভুবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সফিউদ্দিন আহমেদ একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি তিনি কলকাতা একাডেমি অব ফাইন আর্ট প্রদত্ত ‘একাডেমি প্রেসিডেন্ট পদক’, ভারতের পাটনার শিল্পকলা পরিষদ প্রদত্ত ‘দ্বারভাঙ্গা মহারাজার স্বর্ণপদক’, পাকিস্তান সরকার প্রদত্ত ‘প্রেসিডেন্ট পদক’ অর্জন করেন।
×