ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেসকোর ভুতুড়ে বিলে নাজেহাল গ্রাহকরা

প্রকাশিত: ২১:২১, ২০ মে ২০২০

নেসকোর ভুতুড়ে বিলে নাজেহাল গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহকারী সেবা সংস্থা ‘নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি’র (নেসকো) ভুতুড়ে সেবায় ভোগান্তিতে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। জবাবদিহিতা ছাড়ায় চলে নেসকোর কার্যক্রম। আর বিদ্যুত বিলের ভোগান্তি সবচেয়ে অসহনীয়। ঘরে বসেই ইচ্ছেমতো বিল তৈরির কারণে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এখন করোনাকালেও নেসকোর ভোগান্তি কম নেই। গেল এপ্রিল মাসের বিদ্যুত বিল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। মিটার রিডিং না দেখে অফিস থেকে মনগড়া বিদ্যুতের বিল করায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে কারও কারও ১০ গুণ পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল দেখানো হয়েছে। পুরো এপ্রিল মাসে বন্ধ থাকা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এপ্রিল মাসের বিল এসেছে ৬৯ হাজার ১৮০ টাকা। অথচ মার্চ মাসে ওই প্রতিষ্ঠানের বিল ছিল মাত্র ৫ হাজার ২০০ টাকা। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। গ্রাহকরা একের পর অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। নগরীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিল করা হয়েছে কয়েকগুণ। জানা গেছে, বিদ্যুত বিল দেয়া হলেও মিটার রিডিং দেখা হয়নি। অফিসে বসে মনগড়াভাবে তৈরি করা বিদ্যুত বিল গ্রাহকরা পেয়েছেন। এতে দেখা গেছে মার্চ মাসে যে গ্রাহকের ১ হাজার টাকা বিল এসেছে, এপ্রিল মাসে তা দাঁড়িয়েছে ১৫শ’ থেকে তিন হাজার পর্যন্ত। নগরীর শিক্ষা স্কুল এ্যান্ড কলেজ লকডাউনের আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। স্কুলে জ্বলে না লাইট, ঘোরে না ফ্যান। তারপরও মার্চ মাসে এই প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত বিল দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ২০০ টাকা, পরের মাস এপ্রিলে বিদ্যুত বিলের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৮০ টাকা। এর আগের ফেব্রুয়ারিতে বিল দেয়া হয়েছিল ৪ হাজার ৩০০ টাকা। এ নিয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে আগের মাসের বিল দেখে সমন্বয় করে বিল করা হয়। কিন্তু এতো কমবেশি হওয়ার কোন কারণ নেই। যেটা হয়েছে সেটা প্রিন্ট মিসটেক হতে পারে। তিনি বলেন, যাদের বিল বেশি এসেছে তারা অফিসে যোগাযোগ করলে বিল ঠিক করে দেয়া হবে।
×