ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গম পাহাড়ে ত্রাণ

প্রকাশিত: ২১:১৭, ২০ মে ২০২০

দুর্গম পাহাড়ে ত্রাণ

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ দীঘিনালা থেকে নাড়াইছড়ির দূরত্ব অন্তত ৪৫ কিলোমিটার। এটি জেলার সবচেয়ে দুর্গম এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। নির্বাচনের সময় তখন কর্মকর্তারা যাতায়াত করে হেলিকপ্টারে। দেশের সীমান্তবর্তী এই এলাকায় গ্রামের সংখ্যা ১৪টি। এসব গ্রামে বসবাস করে ৫৬০ পরিবার। দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়ননের নাড়াইছড়ি ওয়ার্ডের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ নেই। ধনপাতা থেকে হেঁটে নাড়াইছড়ির ‘উত্তর মাথায়’ (পাড়া) যেতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। দীর্ঘ পথ হাঁটলেও ত্রাণ পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই জুমচাষী। এর ওপর তাদের বেঁচে থাকা। করোনাকালে বাজারে আসা বন্ধ হয়েছে। জুম ফসলের রোপণের এই সময়ে প্রতিবছরই তাদের খাদ্য সঙ্কট থাকে। এমন দুর্ভোগের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ধনপাতা এলাকায় ত্রাণ সহায়তা নিতে নাড়াইছড়ির ২ শতাধিক মানুষ ভিড় করে। দূরত্ব এবং দুর্গম এলাকা বিবেচনায় বিশেষ বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ৫শ’ পরিবারের জন্য দেয়া হয় ১৫ টন চাল। এছাড়া আলু তেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য দেয়া হয়। পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল পেয়ে কিছুদিন হলেও স্বস্তিতে থাকবে দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা। দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ’র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। সুভাষ চাকমা নামে এক ব্যক্তি এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, ‘এই দুঃসময়ে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা নাড়াইছড়ির মানুষ আজীবন মনে রাখবে। অতীতে কোন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই দুর্গম এলাকার মানুষের কষ্ট অনুধাবন করেনি। করোনাকালে এই সহায়তা পেয়ে ১৪ গ্রামের ৫শ’ মানুষের খাদ্য সঙ্কট দূর হয়েছে। ’ নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ‘নাড়াইছড়ি দীঘিনালার সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকা। এখানে ৫ শতাধিক পরিবারের বসবাস। দুর্গম এলাকার এসব নিকটস্থল বাজারে আসতে সময় লাগে ৪ থেকে ১০ ঘণ্টা। দুর্গম এলাকা হওয়ায় যাতায়াতে অনেক সময় লাগে। সেকারণে নাড়াইছড়ির জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিবার প্রতি ১ বস্তা চাল দেয়া হয়েছে। আমরা ৫শ’ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। এসব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো বেশ চ্যালেঞ্জিং। নৌকা এবং বাঁশের ভেলায় করে ত্রাণ নিয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সহায়তায় নাড়াইছড়ির প্রতিটি পবিবারকে আমরা বিশেষ বরাদ্দ পৌঁছে দিতে পেরেছি।’ নেত্রকোনা নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা থেকে জানান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার ১৯৬ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, প্যারালাইসিস, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে ১ কোটি টাকার সরকারী অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে দুস্থ রোগীদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন। জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। নরসিংদী স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে জানান করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন, অসহায়, শ্রমজীবী ও দুস্থ ৭ হাজার পরিবারের মাঝে তৃতীয় পর্যায়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সমাজসেবা ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার সকালে শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ৪ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তৈল, ১ কেজি করে লবণ বিতরণ করা হয়। এ সময় সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সমাজসেবা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপে যখন জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত ঠিক এসময়ে অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি বিত্তবানের উচিত। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আগামীদিনেও তা অব্যাহত থাকবে।
×