ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আক্রান্তের রেকর্ড ভারতে

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ১৯ মে ২০২০

আক্রান্তের রেকর্ড ভারতে

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪২ জন নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ হাজার ২৯ জন। সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে। এনডিটিভি ও বিবিসি। এদিকে চতুর্থ দফায় লকডাউনের মেয়াদ সোমবার থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সরকারী ঘোষণার দিনেই সংক্রমণ এক লাফে এমনটা বাড়ল। তবে অঞ্চলভেদে সংক্রমণের হারের ওপর ভিত্তি করে বিধিনিষেধ শিথিলের ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যগুলোর। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। রবিবার থেকে সোমবার সকালের মধ্যে নতুন করে ওই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৩৪৭ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে এরপরই রয়েছে গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং দিল্লীর অবস্থান। রাজস্থানে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ২০২ জন এবং মারা গেছে ১৩১ জন, মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত ৪ হাজার ৯৭৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪৮ জনের। উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ১০৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ২ হাজার ৬৭৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৮ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪০৭, পাঞ্জাবে ১ হাজার ৯৬৪, তেলেঙ্গানায় ১ হাজার ৫৫১, বিহারে ১ হাজার ২৬২, জম্মু-কাশ্মীরে ১ হাজার ১৮৩ ও কর্ণাটকে ১ হাজার ১৪৭ জন। অন্যদিকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মধ্যে সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া গোটা দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৮২৪ জন। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় শুক্রবারই চীনকে পেছনে ফেলেছে ভারত। ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এদিন দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫ হাজার ২১৫ জন। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৪৪ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে বিশ্বে এখন ভারতের অবস্থান ১১ নম্বরে। ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার অবশ্য চীনের চেয়ে কম। চীনে মারা গেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করোনা রোগী। ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশের। দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ হাজার মানুষ। চীনে এখন ১০০ জনেরও কম কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যদিও উহানে গত সপ্তাহে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার মানুষ। শনিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৭০ জনে। এখন পর্যন্ত ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ হাজার ৯২০ জন। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ভারতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দেন, আগামী ১৭ মের পরেও উঠছে না লকডাউন। ১৮ মে থেকে দেশে জারি হবে চতুর্থ ধাপের লকডাউন, ভারতে যাকে বলা হচ্ছে ‘লকডাউন ৪.০’। তবে লকডাউন জারি রেখেই বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কথাও বিবেচনা করছে দেশটি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরতেই হবে, তাই প্রথমেই শিথিল করা হতে পারে বিমান ও স্থানীয় পরিবহনগুলো চলাচলে জারি রাখা নির্দেশিকা। এদিকে অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের ডাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৬২ দেশের সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের সমর্থন জানিয়েছে ভারতও। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ১৪ হাজার ২৪০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ১৯১ জন।
×