বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। করোনা সঙ্কটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংক্রমণ থেকে কিছুটা ভাল অবস্থানে আছে।
রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ ভবনের নিজ সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের জীবন ও জীবিকা সুনিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত ও পাপমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা, মনন, সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময়ের দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আজ বাংলাদেশ সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার আন্দোলন সংগ্রামে এই ৪০ বছরের চলার পথ ছিল কন্টকাকীর্ণ, বিপদসঙ্কুল। মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারে বারে ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তার জীবনের ওপর বারে বারে হামলা এসেছে। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তিনি ধ্বংসস্তুপের ওপরে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন। তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, নীরব সাহসী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বাংলার জনগণের ভালভাসায় অভিসিক্ত হয়ে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এই দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমুখী উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি তার অগাধ প্রেম ও ভালবাসারই তার রাজনীতির অনুপ্রেরণা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সমপাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার প্রমুখ। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মাঝে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
